.
এ বিষয়ে তাবলিগের মার্কাজ নিউ দিল্লির হজরত নিজামুদ্দিন এলাকায় অবস্থিত বাংলাঅলি মসজিদের কেউ মুখ খুলতেও রাজি নন কখনও৷ এ নিয়ে কথা বলা নাকি তাকওয়া, পরহেজগারির খেলাফ৷ কেনো? যদি বলা হয়, দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে এসেছি, তবে কেনো তাদের কোনো প্রশ্নের জবাব প্রদান করা হয় না?
দারুল উলুম দেওবন্দের এই যুগোপযোগী ফতোয়ার কারণে যারা দারুল উলুম দেওবন্দের প্রতিই খারাপ মন্তব্য করছেন কিংবা কুদৃষ্টিতে দেখছেন, তাদের ভালোভাবে জেনে রাখা উচিৎ, দাওয়াত ও তাবলিগ দারুল উলুম দেওবন্দেরই একটি উপহার; যা দারুল উলুমের সূর্যসন্তান হজরত মাওলানা ইলিয়াস রহ.-এর দ্বারা প্রতিষ্ঠা লাভ করে৷ তাই দারুল উলুম দেওবন্দ অবশ্যই তার সন্তানের রেখে যাওয়া আমানত রক্ষণাবেক্ষণ করার অধিকার রাখে৷
আরেকটি বিষয় জেনে রাখা ভালো, দারুল উলুম দেওবন্দের প্রতি আজ অবধি এতোটুকু আস্থা সবারই রয়েছে, অতি সহজেই কোনো ব্যাপারে দারুল উলুম দেওবন্দ কারোর পক্ষে-বিপক্ষে মুখ খোলে না৷ বহু যাচাইবাছাইয়ের পরেই ফতোয়া দিয়ে থাকে৷ কারণ দারুল উলুম দেওবন্দ কোনো ব্যক্তিবিশেষের নাম নয়, বরং বিশ্বখ্যাত সর্বমহলে গ্রহণযোগ্য একটি প্রতিষ্ঠান; যা উম্মুল মাদারিস নামে সারাবিশ্বে প্রসিদ্ধ।
সুতরাং যারা দারুল উলুম দেওবন্দের চেয়েও দাওয়াত ও তাবলিগ তথা এই বিশ্বআমির সাহেবের প্রতি বড় দরদ দেখাচ্ছেন, তারা মায়ের চেয়ে মাসির দরদটাই বেশির মতোন খানিকটা করছেন না তো!?
অতি সহজেই কোনো ব্যাপারে দারুল উলুম দেওবন্দ কারোর পক্ষে-বিপক্ষে মুখ খোলে না৷ বহু যাচাইবাছাইয়ের পরেই ফতোয়া দিয়ে থাকে৷ কারণ দারুল উলুম দেওবন্দ কোনো ব্যক্তিবিশেষের নাম নয়, বরং বিশ্বখ্যাত সর্বমহলে গ্রহণযোগ্য একটি প্রতিষ্ঠান
আরেকটি ভুল সংবাদ প্রচার করছেন অনেকেই, হজরত মাওলানা মুহাম্মদ সাদ সাহেব রুজু করেছেন ফতোয়াটি প্রকাশ পাবার পরে৷ আসলে কী তাই?শুনুন তাহলে গল্পটি৷ আপনার কাছে বিদ্যমান পত্রটি হজরত মাওলানা মুহাম্মদ সাদ সাহেবের সেই রুজু বা স্বীকারোক্তিপত্র, যেটা দ্বারা দারুল উলুম দেওবন্দ মুতমাইন (আশ্বস্থ) হয়নি৷ আর এটা চারপাতাবিশিষ্ট এই বিশেষ ফতোয়া প্রকাশের আগের করা তার নামমাত্র রুজু ও একধরনের স্বীকারোক্তি৷
যারা ভালো উর্দু জানেন, তারা পড়ে দেখুন পত্রটি৷ বুঝে আসবে পুরো ব্যাপারটি৷ দিবালোকের মতো স্পষ্ট হবে আশা করি৷
তাছাড়া চারপাতার এই ফতোয়ায়ও উল্লেখ রয়েছে, দারুল উলুম দেওবন্দ তার কাছে রুজু ও স্বীকারোক্তি কামনা করেছে৷ কিন্তু তিনি এমন একটি জবাবপত্র পাঠান, যেটি আসলে কোনো রুজু ও স্বীকারোক্তি নয়৷
এরপর দারুল উলুম দেওবন্দ চারপাতার এই ফতোয়াটি সর্বসাধারণ তাবলিগিভাইদেরকে তার ওসব ভ্রান্তি থেকে সতর্ক করবার জন্য প্রকাশ করে৷
দারুল উলুম দেওবন্দ প্রকাশিত চারপাতার ফতোয়াটি আগাগোড়া পড়লে আর এসব প্রশ্ন থাকবার কথা নয়৷ আসলে আমাদের হাতে সময় কোথায়? না পড়ে, না বুঝেই হেইয়ো বলে ঠেসে-গুঁতিয়ে মন্তব্য করে ফেলি৷ আর ঠেলে দিই নিজেদের আকাবিরের শুদ্ধ চেতনাকেও দূর-বহুদূরে৷