মেঘ দেখে
কখনো কখনো মনে হয়
তোমার চিঠির উত্তর এসেছে
এক অদ্ভুত অনুভূতি!
তুমি ছুঁয়ে দিলে শীতল
হয়ে আসে
অকারণে কাঁদি।
শেষ চিঠিটা এমন কেন?
হিম ঘরে রাখা লাশের
মত দুটো লাইন
ভুলে যাও
আমি কত রাত
নির্ঘুম চিঠিটা পড়ে
নিকোটিনের ধোঁয়া
ফুসফুসে ভরে
বিরহে মরেছি।
তোমার অজানাই
থাকবে সব।
আমায় তুমি ক্ষমা করো;
আজও মেঘের গর্জন
শুনে দক্ষিণা জানালা
খুলে, তোমার চিঠির
পথ চেয়ে থাকি।
অথচ-
তুমি অশ্রুসিক্ত চোখে
বুকে মাথা রেখে
বলেছিলে-
এ তোমার 'শেষ চিঠি'।/
১০. ০৯. ১৬
২
কথা ছিল-
চিঠি আসবে;
নগরীর ডাকঘর হয়ে,
নীল প্যাডের ভাঁজে
হলুদ খামে মুড়ানো
একটা চিঠি!
এরপর,
কেটে গেল কত কাল,
কত স্মৃতি সমাধিস্থ হলো!
নগরীর মোড়ে মোড়ে
ঝুলে থাকা চিঠিঘরগুলো হলুদ
রংয়ে রঙ্গিন হলো, শুধু চিঠি এলো না!
আগেরবার-
গুটিকয়েক টাকার অভাবে যে ছেলেটি
চিঠি ছাড়িয়ে নিতে ব্যর্থ হয়েছিল,
আজকাল তাকে ডাকঘরেই দেখা যায়।
ডাকপিয়নের পোষাকে
নিজেকে সে বেশ
মানিয়ে নিয়েছে।
শুনেছি,
রাত্রিতেও নাকি
সেখানেই থাকে,
কেবল একটি চিঠির
প্রতীক্ষায়..
৩.
তারপর
চলে গেলে তুমি!
কিছু হৃদচিহ্ন,
আলতো হাতের ছোঁয়া
আর অজস্র স্মৃতির
মলাট রেখে।
আমার
যা ছিল তোমাতে
সেটাও রেখে গেলে
খুব যতনে!
সেই আগের আমি;
হাসতে ভুলে যাওয়া
অকারণ রাতজাগা,
খাপছাড়া স্মৃতির মলাট খুলে
তোমার ছাপ খুঁজার
চেষ্টা করি!
সেটা-
হয়ে ওঠেনি আর!
এপারে আলো জ্বলতেই
দেখি ওপার ঘিরেছে
আঁধার!
আমি-
এক চোখে দিবা
আর এক চোখে রাত্রি
পুষেছি।
তারও অনেক পরে
কেউ একজন বললো;
চলুন,
মন বদল করি!
একথা শুনে ভাবলাম,
ভালোই হয়
যদি দাগ পড়া মনটাকে
বদলে নিতে পারি!
যেন পুরোনো
ফাঁটা নোটের বিপরীতে
চকচকে নোটের বিনিময়!
সেই খুশিতে বুক পকেটে
হাত রাখতেই দেখি;
সব রেখে যাওয়া তুমি
যাবার বেলায় কেবল
মনটাই রেখে যাওনি!
জেএম