আবিদ আনজুম: অন্যের সহযোগিতা ইসলামের বড় গুণ। বিশেষ করে যারা গৃহহীন ও দরিদ্র। লন্ডনের একটি মুসলিম রেস্তোরাঁ এ কারণেই চমৎকার এক উদ্যোগ নিয়েছে। খ্রিস্টানদের বড়দিনে গৃহহীন ও বয়স্ক মানুষদের বিনামূল্যে তিনবেলা খাবার পরিবেশন করবে রেস্তোরাটি।
রেস্তোরাটির মুসলিম মালিক এ আহ্বান জানিয়েছেন এবং এটি ছড়িয়ে দিতে বলেছেন। স্থানীয়দের কাছে আহ্বান জানিয়েছে, এই বার্তা সবাই যেন ছড়িয়ে দেন, যাতে কোনো দরিদ্র বড়দিনে খাবার বঞ্চিত না হন।
রেস্তোরাঁটি একিট পোস্টারও করেছে। তাতে লেখা- ‘উই আর হেয়ার টু সিট উইথ ইউ। অর্থাৎ ২৫ ডিসেম্বর বড়দিনে আপনাকে আমরা কাছে পেতে চাই। এ খবর দিয়েছে লন্ডনের অনলাইন দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট।
লন্ডনের ওই রেস্তোরাঁটির নাম শীশ রেস্তোরাঁ। এটি সিদকাপ এলাকায় অবস্থিত। এর কর্তৃপক্ষ লোকজনকে সামাজিক মিডিয়ার মাধ্যমে তাদের পরিকল্পনা ছড়িয়ে দেয়ারও আহ্বান জানিয়েছে।
সহযোগিতামূলক চমৎকার এ উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করা হচ্ছে পুরো লন্ডনে। ফেসবুকে ভিকি ল্যানফেয়ার নামে একজন লিখেছেন, আমি এ যাবতকালে যত আত্মউৎসর্গ দেখেছি তার মধ্যে এটি সর্বোত্তম। এমন প্রতিষ্ঠানকে ‘পিলার অব দ্য কমিউনিটি’ বা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ভিত্তি হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া উচিত।
সুজান্নাহ হ্যারিস যোগ করেছেন, কি চমৎকার উদ্যোগ। বড়দিনে রেস্তোরাঁগুলো যখন টাকা বানায় তখন তার পরিবর্তে এরা উদারতার প্রকাশ দেখাচ্ছে। আমি যদি বড়দিনে এলাকায় থাকি তাহলে অবশ্যই সেখানে যাবো।
লিন্ডা লিচ নামে একজন লিখেছেন, এখনও বিশ্বে দয়ালু মানুষ বেঁচে আছেন। তারা ‘অ্যামেজিং’ বা বিস্ময়কর মানুষ।
টুইটারেও এমন প্রশংসা বাক্য ছুড়ে দেয়া হচ্ছে। এক টুইটার ব্যবহারকারী লিখেছেন, একটি চমৎকার উদ্যোহ। এটাই হলো প্রকৃত সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির শক্তি! সৃষ্টিকর্তা তাদের সহায় হোন।
স্যালি বার্নস নামে একজন লিখেছেন, মুসলিমরা এমন উদারতা দেখায় তারই একটি অংশ এটি। কেউ বিষয়টি দ্য ডেইলি মেইলকে জানিয়ে দিন প্লিজ!
উল্লেখ্য, ওই রেস্তোরাঁয় বড়দিনে তিনবার খাবার দেয়া হবে দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। এর মধ্যে শুরুতে দেয়া হবে একটি স্যুপ। এর সঙ্গে থাকবে দুধ ও সবজি দিয়ে তৈরি তুরস্কের একটি জনপ্রিয় খাবার ক্যাকিক। মূল খাবার হিসেবে দেয়া হবে চিকেন ক্যাসেরোল, ভেজিটেবল ক্যাসেরল অথবা চিকেন শীশ। সবশেষে দেয়া হবে রাইস পুডিং।
আরআর