শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের বিকল্প নেই: তারেক রহমান জমিয়তের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হলেন শায়খ মাওলানা আবদুর রহীম ইসলামাবাদী কুমিল্লায় আন্তর্জাতিক ইসলামী মহাসম্মেলন আগামীকাল মাওলানা মনসুরুল হাসান রায়পুরীর ইন্তেকালে চরমোনাই পীরের শোক প্রকাশ জমিয়ত সভাপতি মাওলানা মনসুরুল হাসান রায়পুরী রহ.-এর বর্ণাঢ্য জীবন কওমি সনদকে কার্যকরী করতে ছাত্রদল ভূমিকা রাখবে: নাছির বড় ব্যবধানে জিতে প্রথমবারের মতো পার্লামেন্টে যাচ্ছেন প্রিয়াঙ্কা আইফোনে ‘টাইপ টু সিরি’ ফিচার যেভাবে ব্যবহার করবেন  স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা জাতীয়করণের দাবি অত্যন্ত যৌক্তিক: ধর্ম উপদেষ্টা আল্লাহকে পেতে হলে রাসূলের অনুসরণ অপরিহার্য: কবি রুহুল আমিন খান

ইসরাইলের হাইফা এখন মরুভূমি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

haifaআওয়ার ইসলাম: দুই সপ্তাহ আগে ইসরায়েলে লাগা ভয়াবহ দাবানলে মরুভূমিতে পরিণত হয়েছে হাইফা নগরী। আগুনে পুড়ে গেছে শত শত হেক্টর বন, বসতি এবং ফসল। দূর থেকে দেখলে মরুভূমির বালি ছাড়া ওখানে আর দেখার কিছু পাওয়া যাবে না।

গত ২২ নভেম্বর উত্তর ইসরাইলে অবস্থিত দেশের তৃতীয় বৃহত্তম নগরীতে আগুনের সূত্রপাত হয়। আর তা ছড়িয়ে পড়ে ভয়াবহ দাবানলাকারে, ফলে নগরীর প্রায় ২ লক্ষ ৫০ হাজার বাসিন্দা দিশেহারা হয়ে পড়ে।

এ দাবানলে ৮০ হাজার মানুষ হয়েছে গৃহহীন। ৮০০ ঘরবাড়ি পুড়ে সম্পূর্ণ ছাই হয়ে গেছে। হাইফায় প্রায় দশ হাজার একর এলাকা পুড়ে গেছে। পুরো হাইফা এখন প্রায় পোড়া, পরিত্যক্ত এক নগরী। এক তৃতীয়াংশ মানুষ এখন বাস করছে খোলা আকাশের নিচে।

বিবিসির এক খবরে বলা হয়, দাবানল থেকে বাঁচতে হাইফা শহর থেকে নিজেদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে প্রায় ৮০ হাজার লোক পালিয়ে যায়। আগুনে কেউ মারা না গেলেও আঘাত পেয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নেয় ১৩০ জন। শহরের স্কুল-কলেজ, হাসপাতাল ও কারাগারগুলো খালি করে ফেলা হয়। বন্ধ করে দেয়া হয় শহরের দক্ষিণে জেরুজালেম ও তেল আবিব সংযোগ মহাসড়ক।

ছেলে হত্যার প্রতিবাদে এবার মা’ও ইসলাম গ্রহণ করলেন

১৯৪৮ সালে কিছু জমি কিনে এবং কিছু দখল করে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েল। রাষ্ট্রটি প্রতিষ্ঠার পর আরবদের সাথে তিনবার যুদ্ধ করেছে, বিশ্বমোড়ল আমেরিকার ও তার মিত্রদের সহায়তায় বলতে গেলে প্রতিটি যুদ্ধেই জয়ী হয়েছে তারা। এর পর লেবানন ভিত্তিক সংগঠন হিজবুল্লাহর সাথেও একবার রক্তক্ষয়ী লড়াই করেছে। ফিলিস্তিনভিত্তিক হামাসের উপর অসংখ্যবার ভয়াবহ হামলা করে ধ্বংস করেছে ফিলিস্তিনিদের জীবন, সম্পদ, মানবাধিকারসহ সব কিছু।

এতকিছু করার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন বেপরোয়া ইসরাইল এবং তাদের সেনাবাহিনী গত সপ্তাহে অপ্রত্যাশিতভাবে এক ভয়াবহ দাবানলের মুখে অসহায় হয়ে পড়ে। কিন্তু হাইফা কিংবা গোটা ফিলিস্তিন ভূখণ্ডেই প্রাকৃতিক কোনো জঙ্গল নেই। তাহলে দাবানল ছড়াল কীভাবে?

উত্তর হচ্ছে, ইসরাইল ১৯৪৮ সালের পর ফিলিস্তিনি গ্রামগুলো ধ্বংসের ঘটনা আড়াল করতে ব্যাপক হারে বৃক্ষ রোপণ করেছে। এর সিংহভাগই পাইন গাছ। এভাবেই হাইফা এলাকায় কৃত্রিম অরণ্য গড়ে ওঠে। আর গত দু’মাসের বেশি সময় ধরে চলা খরা ও বাতাসের কারণেই দাবানল চলে যায় নিয়ন্ত্রণের বাইরে।

প্রথম দিকে ইসরাইলিদের সৃষ্ট কৃত্রিম পাইন জঙ্গলে আগুন লাগে। তা নির্বাপণের চেষ্টা চলার মধ্যেই গোটা হাইফাতে ছড়িয়ে পড়ে দাবানল। সেখানকার এক প্রত্যক্ষদর্শীর ভাষ্যে হলো, কল্পনার চেয়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছিল দাবানল। প্রথমে দেখা গিয়েছিল শুধু একটু ধোঁয়ার কুণ্ডলি। লোকজন আতংকিত হয়ে চারদিকে ছুটোছুটি শুরু করে। দেখতে দেখতেই আগুনের লেলিহান শিখা হয়ে তা উঠে যায় প্রায় ৩০ ফুট উপরে।

ইসরাইল দাবানল নিয়ন্ত্রণের প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হওয়ার পর তার বন্ধু দেশগুলো এগিয়ে আসে। তাদের মধ্যে আছে সাইপ্রাস, রাশিয়া, ইটালি, কানাডা, ক্রোয়েশিয়া, তুরস্ক, আজারবাইজান, গ্রিস, যুক্তরাষ্ট্র প্রভৃতি দেশ।

অবাক করার খবর হচ্ছে, ইসরাইলের এ বিপদের দিনে মানবতার সর্বোচ্চ নজির স্থাপন করে ফিলিস্তিন ৮টি অগ্নি নির্বাপক গাড়ি ও তাদের দমকলকর্মীদের পাঠিয়ে সাহায্য করেছে। অথচ, এর মধ্যেও ইসরাইল জেরুজালেমের মসজিদগুলোতে আযান নিষিদ্ধ করার প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখে মুসলমানদের অন্তরকে ক্ষতবিক্ষত করে গেছে।

ফিলিস্তিনের এই মানবতাবাদের অভূতপূর্ব নিদর্শনে হতবাক হয়েছে গোটা ইসরায়েল। কিন্তু তাদের কি আদৌ অনুভূত হবে মানুষ মারা ও গৃহহীন করার কী যন্ত্রণা? এসব ভুলে শিগগিরই আবার ফিলিস্তিনের মুসলিম নিধনে লেগে যাবে নাতো?

 আরআর

প্রতিদিন কুইজ প্রতিদিন ৩০০ টাকার বই পুরস্কার, জিততে অংশ নিন রকমারি-আওয়ার ইসলাম সিরাত কুইজে। 


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ