আব্দুল্লাহ বিন রফিক: আমরা হয়তো বায়তুল্লাহর আজান শুনেছি। তবে বাস্তবে নয়, মোবাইলে কিংবা টিভিতে। আর কেউ হজে গিয়ে থাকলে সরাসরি শুনেছেন। তবে সেই সুমধুর কন্ঠে আজান যিনি দেন তাকে কি কেউ দেখেছে কখনো? চলুন আজ বিশ্বের এই গর্বিত মুআজ্জিনের সাথে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেই।
তার নাম শায়খ আলী আহমাদ। ৪০ বছর ধরে বায়তুল্লাহর আজান দিয়ে চলেছেন। ১৯৪৫ সালে মক্কার এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম। ১৯৭৫ সালে তার চাচাতো ভাই শায়েখ আবদুল মালিক মোল্লার মৃত্যুর পর থেকে আজ অবধি এই দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। সুমধুর কণ্ঠে আজান দেওয়ার কারণে অনেকেই তাকে ‘হারামের বিলাল’ উপাধিতে ভূষিত করেছেন।
বয়স যখন মাত্র তেরোর কোঠায় তখন তিনি হারাম শরীফের বাবুজ জিয়ারতে উঠে আজান দেওয়ার চেষ্টা করেন। এরপর বাবুল মুহকামার মিনারসহ একে একে সবগুলো মিনারে আজান দেন। এভাবে একদিন সরকারের পক্ষ থেকে তাঁকে মক্কা শরিফের সম্মানিত মুআজ্জিন ঘোষণা করা হয়।
তিনি মক্কার সব মুআজ্জিনের তুলনায় প্রবীন এবং সবার ইনচার্জ। শুধু তাই নয় শায়খ আহমাদুল্লাহর খানদান ও পরম্পরা বছরের পর বছর ধরে বায়তুল্লায় আজানের গুরুদায়িত্ব পালন করে আসছেন। তাঁর দাদা, বাবা ও চাচা বায়তুল্লাহর আজান দেওয়ার গৌরব লাভ করেছেন। এমনকি বর্তমানে তার পুত্র শায়খ আবদুল লতিফও হারাম শরীফের মুআজ্জিনের দায়িত্বে আছেন।
সূত্র: ডেইলি পাকিস্তান ও উইকিপিডিয়া আরবি অবলম্বনেি
আরআর