আব্দুল্লাহ বিন রফিক
‘সুখী স্বদেশ গড়তে ভাই আয়করের বিকল্প নাই’ এ স্লোগানে মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে আয়কর মেলা-২০১৬। করদাতাদের উদ্বুদ্ধ করতে ২০০৮ সালে জাতীয়ভাবে আয়কর দিবস চালু করেছিল এনবিআর। এর দু’বছর পর থেকে শুরু হয় আয়কর মেলা। ১ নভেম্বর থেকে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে এ মেলা-২০১৬। ঢাকাসহ ৮টি বিভাগীয় শহরে চলবে এ মেলা।
জনগন ও রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনে করের বিধান আরোপ করেছে ইসলাম। তাই এ সম্পর্কে জানাটাও গুরুত্বপূর্ণ। কর দেওয়া মৌলিকভাবে জনগণের দায়িত্ব। তাই চাইলেও যে কেউ যাচ্ছেতাইভাবে কর ফাঁকি দিতে পারবে না।
ইদানিংকালে কর ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতা বেড়ে গেছে। শরীয়তের দৃষ্টিকোণ থেকে কর ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ কারোর নেই। ফিকাহবীদরা বলেন, কর ফাঁকি দেওয়া জায়েজ হবে না।
সরকার করের টাকা সঠিক কাজে ব্যয় করবে না এমন অজুহাতেও অনেকে কর ফাঁকি দেয়। কিন্তু আদৌ কি বিষয়টি ঠিক?
সিলেট জামি‘আ মাদানিয়া কাজির বাজার মাদরাসার ফতোয়া বিভাগের প্রধান মুফতী শফিকুর রহমান বলেন, জনগণের ওপর কর দেওয়া ওয়াজিব। ছল-চাতুরি বা ছুতো দিয়ে কোনোভাবেই কর থেকে দায়িত্বমুক্ত হওয়া যাবে না। এটা জনকল্যাণে শরীয়া প্রবর্তিত একটি আইন ব্যবস্থা। এটিকে উপেক্ষা করার সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, প্রশ্ন থাকতে পারে, যদি সরকার এই করকে যথাযথ খাতে ব্যবহার না করে বা নিজের পকেটে পুরে কিংবা স্বার্থসিদ্ধি ও বিলাসব্যসনে ব্যবহার করে তখনও কি আমরা কর দিতে বাধ্য থাকবো? হ্যাঁ, তখনও আমরা কর দিতে বাধ্য থাকবো। কারণ, আমাদের কাজ হলো আমাদের করের অর্থ দায়িত্বশীলদের হাতে তুলে দেওয়া। এখন বাকি কাজটা হবে দায়িত্বশীলদের। যদি তারা এটার যথাযথ ব্যয় নিশ্চিত না করে তাহলে এর দায়ভার তারা বহন করবে। এর পাপ ও মানুষের অধিকার বঞ্চিত করার দণ্ড তারা ভোগ করবে। আখেরাতে এ পাপের বোঝা তারা বহন করবে।
দেশ পরিচালনায় আয়কর গুরুত্বপূর্ণ। জনগণের আয় থেকে লব্ধ বিশাল পরিমাণ এ অর্থ যোগ হয় বাৎসরিক বাজেটে। যা দিলে মূলত উপকৃত হয় জনগণই। সুতরাং আয়কর দেশের জন্য যেমন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির জীবনেও গুরুত্বপূর্ণ। আর ইসলামও বিষয়টিকে অন্যরকমভাবে গুরুত্বারোপ করেছে।
আরআর
আরো পড়ুন
http://ourislam24.com/2016/11/03/%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AE-%E0%A6%A5%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%86%E0%A6%B2%E0%A7%8B-%E0%A6%9B%E0%A7%9C%E0%A6%BE%E0%A6%9A%E0%A7%8D%E0%A6%9B%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%AF/