আওয়ার ইসলাম: বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করতেই গুলশানের হলি আর্টিজন রেস্তোয়াঁয় পরিকল্পিতভাবে সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি। এ হামলা বাংলাদেশের সংস্কৃতির ওপর বড় আঘাত বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
সোমবার মাত্র কয়েক ঘণ্টার সফরে ঢাকা আসেন তিনি।
সফরসূচি অনুযায়ী, ধানমন্ডির অ্যাডওয়ার্ড এম কেনেডি (ইএমকে) সেন্টারে নাগরিক সমাজ, রাজনীতিক ও তরুণ প্রজন্ম প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে বক্তৃতাকালে জন কেরি এসব কথা বলেন।
সন্ত্রাস দমনে সহযোগিতার পাশাপাশি সুশাসনের প্রতি জোর দিয়ে তিনি বলেন, জঙ্গিবাদ নির্মূলে অবশ্যই গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে সমুন্নত রাখতে হবে। কোনোভাবেই গণতান্ত্রিক চেতনাকে অবজ্ঞাভরে পরিহার করা যাবে না।
তার মতে, সন্ত্রাস দমনের ক্ষেত্রে তথ্য আদান-প্রদান ছাড়া কোনো দেশ এককভাবে সফল হতে পারে না।
নিরাপত্তা ইস্যু ও সহিংস উগ্রবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের জোরালো সমর্থন ও সহযোগিতা থাকবে, উল্লেখ করেন তিনি।
সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন সন্ত্রাসী হামলার প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, হতে পারে এসব হামলাকারী দেশের ভেতরে বেড়ে উঠেছে, কিন্তু আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসীদের
সঙ্গে তাদের সম্পর্ক থাকতে পারে।
এক প্রশ্নের জবাবে কেরি বলেন, ইরাক-সিরিয়াভিত্তিক আইএস’র সন্ত্রাসীদের সঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের আটটি সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে। দক্ষিণ এশিয়া এর মধ্যে একটি। এ বিষয়ে তর্কের কোনো সুযোগ নেই।
সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করা বিশ্বের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। আর এই সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে আমাদের এক প্রজন্ম বা তার চেয়েও বেশি সময় লাগতে পারে, যোগ করেন তিনি।
বাংলাদেশকে সহযোগিতা প্রসঙ্গে কেরি বলেন, যেকোনো সমাজে জঙ্গিবাদ সবার জন্য হুমকিতে পরিণত হতে পারে। এসব কারণেই যুক্তরাষ্ট্র জঙ্গিবাদের নেটওয়ার্ক ভাঙতে বিশেষ করে আল কায়েদা ও আইএস’র নেটওয়ার্ক ভেঙে দিতে সবাইকে সহায়তা করছে। সন্ত্রাস দমনে বাংলাদেশের জন্যও এ সহযোগিতা থাকবে।
বাংলাদেশের সংস্কৃতির প্রশংসা করে কেরি বলেন, বিশ্বে অন্যতম সমৃদ্ধ, বৈচিত্র্যপূর্ণ ও সুন্দর সংস্কৃতির দেশ হলো বাংলাদেশ। এটা প্রকৃতপক্ষেই সোনার বাংলা।
এআর