শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
‘প্রকৃতপক্ষে ভুল হলে ক্ষমা চাইতে প্রস্তুত আ.লীগ’ সিইসিসহ নবনিযুক্ত নির্বাচন কমিশনাররা শপথ নেবেন রোববার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য হলেন মুন্সিগঞ্জের নিরব ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু বাজারে এলো ইনফিনিক্সের সবচেয়ে স্লিম স্মার্টফোন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন: বেঁচে ফেরার আশা করেনি সানিয়া মুসলিম কমিউনিটি কমলগঞ্জ উপজেলা শাখার কমিটি গঠন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন: অর্থের অভাবে অনেক আহতের হচ্ছে না চিকিৎসা কোটি টাকার সহায়তা নিয়ে ফিলিস্তিনিদের পাশে হাফেজ্জী চ্যারিটেবল সোসাইটি ফরিদপুরে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ‘কুরআন সবক অনুষ্ঠান’র উদ্বোধন

শুকর ও মদ না বেচলে হালালশপ বন্ধের নির্দেশ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

halal-frncঢাকা: ফ্রান্সে হালাল সুপারশপগুলো নানা কারণেই জনপ্রিয়। দেশটির মুসলিমদের পাশাপাশি অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরাও ঝুকতে শুরু করেছে হালাল সুপারশপগুলোতে। কর্তৃপক্ষ এবার খড়গহস্ত হতে শুরু করেছ এই হালাল সুপারশপগুলোর ওপর।

ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে একটি হালাল সুপার মার্কেটকে শুকরের মাংস এবং মদ বেচার নির্দেশ দিয়েছে। অন্যথায় সুপারশপ বন্ধ করাও ঘোষণা দেয় কর্তৃপক্ষ। হঠাৎ করেই কর্তৃপক্ষের এ ধরনের ঘোষণায় সেখানকার মুসলিমদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করতে শুরু করেছে।

শুকরের মাংস ও মদ বিক্রি করার নির্দেশ পাওয়া সুপারশটি প্যারিসের কলম্বেস শহরে অবস্থিত। নাম দ্য গুড প্রাইস। এখানে হারাম পণ্য ছাড়া সব ধরনের পণ্যই বিক্রি করা হয়। তবে এ নির্দেশের পর  এখন হয়তো পাল্টে যাবে চিত্রটি।

কর্তৃপক্ষের দাবি, একটি সাধারণ খাদ্য বিক্রেতা হিসেবে এই দোকান চালানোর কথা থাকলেও মালিক চুক্তির শর্ত মানছেন না। তাছাড়া হালাল হারামের বাছবিচার থাকাতে তারা এলাকার বাসিন্দাদের সঠিকভাবে সেবা দিতে পারছে না।

ব্রিটিশ গণমাধ্যমে টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, শহরের মেয়র নিকোল গুয়েতা নিজেই সেই সুপার মার্কেটে গিয়ে বলে এসেছেন, এখানে খাবারে বৈচিত্র্য আনতে হবে। মদ ও হালাল নয় এমন মাংসসহ সব ধরনের খাবার রাখতে হবে।

কর্তৃপক্ষ যুক্তি দেখাচ্ছে, এটা সহাবস্থানের জন্য অনুকূল নয়। একটা এলাকায় মুসলিম আরেকটা এলাকা অমুসলিদের জন্য এটা হতে পারে না। এটা সামাজিক নয়।

তবে মার্কেটের ম্যানেজার সুলেমান ইয়েলচিন বলছেন, এটা ব্যবসা। আমি যেখানে ব্যবসার অনুকূল দেখবো আমার টার্গেট ক্রেতা কারা সেটার ভিত্তিতেই আমি ব্যবসা করবো।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষ অবশ্য এ যুক্তি মানতে নারাজ। তারা ওই মার্কেটের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে। যদিও চুক্তি অনুযায়ী তাদের লিজের মেয়াদ শেষ হবে ২০১৯ সালে।

এখন দেখার বিষয় আইনি লড়ইয়ে কে জিতে- জোরজবরদস্তি না বিক্রেতার স্বাধীনতা।

সূত্র: এক্সপ্রেস ট্রিবিউন

আরআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ