শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
‘প্রকৃতপক্ষে ভুল হলে ক্ষমা চাইতে প্রস্তুত আ.লীগ’ সিইসিসহ নবনিযুক্ত নির্বাচন কমিশনাররা শপথ নেবেন রোববার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য হলেন মুন্সিগঞ্জের নিরব ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু বাজারে এলো ইনফিনিক্সের সবচেয়ে স্লিম স্মার্টফোন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন: বেঁচে ফেরার আশা করেনি সানিয়া মুসলিম কমিউনিটি কমলগঞ্জ উপজেলা শাখার কমিটি গঠন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন: অর্থের অভাবে অনেক আহতের হচ্ছে না চিকিৎসা কোটি টাকার সহায়তা নিয়ে ফিলিস্তিনিদের পাশে হাফেজ্জী চ্যারিটেবল সোসাইটি ফরিদপুরে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ‘কুরআন সবক অনুষ্ঠান’র উদ্বোধন

যে কোনো বিষয়ে আন্দোলনে নেমে পড়া সমাধান নয়

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ashraf_ali

আওয়ার ইসলাম: দেশে চলমান কয়েকটি বিষয় নিয়ে আন্দোলন করছে ইসলামি দলগুলো। শিক্ষানীতি, জুমার খুৎবা’র পাশাপাশি সরকারের নানা বিষয়ে তৎপর নেতাকর্মীরা। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ ইস্যুতেও মাঠে সরব দলগুলো। কিন্তু আন্দোলনটাই কি সব ক্ষেত্রে সমাধান?

ইদানিং এমন প্রশ্ন শোনা যায় নানা জনের মুখে। বুদ্ধিবৃত্তিক পদক্ষেপে দল ও মাদরাসাগুলো পিছিয়ে বলে গুঞ্জন রয়েছে নিজেদের মধ্যেও। বিষয়টি নিয়ে টেলিফোনে কথা হলে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় আলেম ও মুরব্বি আল্লামা আশরাফ আলী একই খেয়াল পেশ করেন।

বিশিষ্ট ইসলামিক স্কলার, জামিয়া শরইয়্যাহ মালিবাগের মুহতামিম ও জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া’র শাইখুল হাদিস আল্লামা আশরাফ আলী বলেন, ইসলামের বিরুদ্ধে কোনো অপপ্রচার করা হলে অবশ্যই তার জন্য আন্দোলন করতে হবে। আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে বিষয়টি জানাতে হয়। তবে আন্দোলনের পাশাপাশি প্রয়োজন বুদ্ধিবৃত্তিক পদক্ষেপও। কারণ সরকারকে যখন উলামায়ে কেরাম সরাসরি সাক্ষাতে ইসলামবিরোধী পদক্ষেপগুলো ধরিয়ে দেবে এবং এর কুফলগুলো আলোচনা করবে, তখন সরকার সহজে বিষয়গুলো বুঝতে পারবে। সিদ্ধান্ত থেকে ফিরে আসতে সহজ হবে। এর বাস্তব ফল আমরা পেয়েছি। ২০০৯ সালের এপ্রিলের সরকার কওমি মাদরাসায় তল্লাশি চালাচ্ছিল। তখনও হেফাজতে ইসলাম গঠন হয়নি। সে সময় ২০০৯ সালের ১৮ এপ্রিল আমি, আহমদ শফি সাহেবসহ অন্যান্য উলামায়ে কেরাম সরকারের সাথে দেখা করে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করি। তখন সরকার তল্লাশশি চালানো থেকে ফিরে আসে। আমি বলছি না আন্দোলন করতে হবে না, বরং আন্দোলন করতে হবে এবং সরকারের সাথে এর সুরাহা কি হতে পারে তা নিয়ে আলোচনা করতে হবে।

তবে কিছু কিছু বিষয় আছে যা আন্দোলন না করলে হয় না। কারণ সরকার অনেক সময় কারো চাপের মুখে সিদ্ধান্ত নেয়। পরবর্তীতে জনসাধারণের আন্দোলনের ফলে সিদ্ধান্ত থেকে ফিরে আসে। এজন্য আমার খোলাসা বক্তব্য হলো যখন যেভাবে পরিস্থিতি সামলানো যাবে সেভাবেই পদক্ষেপ নিতে হবে। একতরফা আন্দোলনেই সমাধান নয়।

আন্দোলন ব্যতীত অন্য পদক্ষেপের জন্য প্রশাসনে ‍লোক থাকা জরুরি। কিন্তু আলেম বা ইসলামি দলগুলোর মধ্যে এর অভাব রয়েছে কিনা?

আল্লামা আশরাফ আলী বলেন, আলেমদের প্রশাসনে যুক্ত হওয়া জরুরি। কওমি অঙ্গনের ছেলেরা চরিত্রবান। অথচ প্রশাসনের অনেকে দূর্নীতিগ্রস্থ। এমতাবস্থায় সরকারি এসব কর্মকাণ্ডে মাদরাসা শিক্ষার্থীরা অংশ নিতে পারলে দেশ দূর্নীতি মুক্ত হবে।

ashraf_ali2

কিন্তু প্রশাসনে ‍যুক্ত হওয়ার পূর্বশর্ত সার্টিফিকেট। কওমি সিলেবাসের স্বীকৃতি না থাকায় তাদের সার্টিফিকেট সরকারের কাছে মূল্যহীন। এ অবস্থায় কী করণীয় জানতে চাইলে আল্লামা আশরাফ আলী বলেন, এ অবস্থায় কওমি সিলেবাসের স্বীকৃতি জরুরি। আশার ব্যাপার হলো, সরকার আমাদের স্বীকৃতি দিতে চাচ্ছে। কিন্তু আমরা কিছু শর্তের ভিত্তিতে স্বীকৃতি নিতে চাই।

তিনি বলেন, সরকার শিক্ষানীতি ২০১০ এ বলছে, ইসলামি শিক্ষাকে যুগোপযোগী করতে। এখানে সরকারের সঙ্গে আমাদের বিরোধ রয়েছে। আমরা চাচ্ছি যুগকে ইসলামি করণের জন্য। এমতাবস্থায় সরকারকে আমরা বলেছি, সরকার আমাদের শর্ত মেনে স্বীকৃতি দিলে আমরা নিতে রাজি।

সরকার সিলেবাস পরিবর্তনের কথা বলে, কারণ সার্টিফিকেট মূল্যায়নের জন্য এটা প্রয়োজনীয়। সরকারের বক্তব্য হলো, শুধু আরবি পড়ে প্রশাসনে যুক্ত হওয়া অসম্ভব

আল্লামা আশরাফ আলী বলেন, সিলেবাস পরিবর্তনের পক্ষে আমরাও। তবে সেটা হতে হবে আমাদের শর্ত মোতাবেক। সরকার যে শর্তে স্বীকৃতি দিতে চাচ্ছে তার প্রধম ধাপ হলো সিলেবাস পরিবর্তন। যদি সরকার আন্তরিক হয়ে স্বীকৃতি দেয় তাহলে আমরা সিলেবাসকে সুন্দর করে ঢেলে সাজাবো। বর্তমান চাহিদার প্রতি লক্ষ রেখে সিলেবাস চয়নে আমরাও রাজি। অতএব, যুগোপযোগী সিলেবাস যখন করা হবে তখন এসব বিষয় আমরা সংযোজন করবো। এতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।

এমডব্লিউ/আরআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ