আওয়ার ইসলাম: আগামী শুক্রবার উদ্বোধন হতে যাচ্ছে এবারের অলিম্পিক আসর। এই আসরে ব্যতিক্রমী সদস্য হিসেবে ইতোমধ্যেই নাম ছড়িয়ে ফেলেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাথলেট ইবতিহাজ মুহাম্মদ।
উদ্বোধনীর দিন রিওর মারাকানা স্টেডিয়ামে যুক্তরাষ্ট্রের ৫০০ সদস্যের দল যখন মার্চ পাস্ট করবে তখন সেই দলে তিনিও থাকবেন। তবে অন্যদের মতো নয়। ইবতিহাজ অংশ নিবেন হিজাব পরে।
হিজাব পরে প্রথম আমেরিকান নারী হিসেবে অলিম্পিকে অংশ নিয়ে ইতিহাস গড়তে যাচ্ছেন ইবতিহাজ। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী প্রচারণায় প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প তো মুসলমানদের প্রতিপক্ষ যেন। অভিবাসীদের বিরুদ্ধেও তিনি। এমন সময় আমেরিকান-আফ্রিকান ও মুসলিম ইবতিহাজের হিজাব পরে অলিম্পিকে অংশ নেওয়া বিশেষ অর্থ বহন করে।
মিডিয়ার একটি অংশ তো ৩০ বছরের ইবতিহাজের হাতে অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমেরিকার পতাকাই তুলে দিতে বলছে। তাতে আমেরিকান সম্প্রীতি ও সহিষ্ণুতার বহিঃপ্রকাশ ঘটবে বলে ধারণা।
নিউজার্সিতে জন্ম ও বেড়ে ওঠা ইবতিহাজের। কিন্তু বিশ্ব ও আমেরিকার সাম্প্রতিক পরিস্থিতি তাকেও ভাবায়, ‘আমাদের এখানে এখন কঠিন রাজনৈতিক পরিবেশ। মুসলিমরা অনুবীক্ষণ যন্ত্রের নিচে।’ বেড়ে উঠতে উঠতে অনেক বৈষম্যের শিকার ইবতিহাজের রাজনৈতিক সচেতনতা দারুণ।
সহজাত যোদ্ধা তিনি। তার লড়াইটা ফেন্সিংয়ে। বিশ্বে র্যাংকিংয়ে ৮ ও যুক্তরাষ্ট্রে ২ নম্বর তিনি। দাবি করেন, তার শরীরে কেবল আমেরিকান রক্ত বয়ে যায়। রিও অলিম্পিককে তিনি কিছু বিষয় প্রমাণের মঞ্চ হিসেবেও নিয়েছেন, “কেউ যদি বলে আমি আমেরিকান না, এটা আমার দেশ না তাহলে সেটা হতাশার।
আমি মানুষকে দেখাতে চাই যে একজন মুসলিম নারী হিজাব পরে অলিম্পিকে আমেরিকার প্রতিনিধিত্ব করছে।”ইবতিহাজের ফেন্সিং দল তাকে ভালো বোঝে। ২০১০ সাল থেকে জাতীয় দলে তিনি। আর তাদের দলের অন্যতম সেরা ফেন্সার আলেক্সান্ডার মাসিয়ালাস জানালেন, “হিজাব পরে এই লড়াই কঠিন। কিন্তু সে ভালো ভাবে সব সামলাচ্ছে। লড়াই থেকে পিছু হটার মানুষ কখনোই সে না।”
এআর