মুনিয়া উড়ে গেল ভবিষ্যতের দিকে
সামনেই দেখি পরিযায়ী কালো শালিক-
কুয়াশা মাখানো মায়াবী ডানা ঝাপটায়।
সহসা প্রেমিকা শ্রাবণের নদী-
ভরা নদীর পানির শেষে
তার ফেরার ঢেউয়ে আনচান আয়ূধ।
থেকে থেকে ভূলোকের গোলক ধাঁধাঁয় পড়ি-
ছইতোলা নৌকার ভেতরে কারা যেনো
পাশা খেলে! ওদিকে পলাশ বন লাল।
পূর্বশ্রুত গানের রেশটা
কাটতে না কাটতে একটা
মুনিয়া উড়ে গেল ভবিষ্যতের দিকে।
লোভদৌড়
গিরগিটির মৌলিক ত্বক চিনি না।
রঙের মননে যে রহ্যসের ফূর্তি ওড়াওড়ি করে নিপীড়িত
মহাদেশে
আমিও তাকে ফিকিরে স্পর্শ করতে চেয়েছিলাম রোদের ধর্ম
ভুলে।
লোভদৌড়ে প্রতিদিন বিজয়ী হতে হতে ডানা সমেত সিঁড়ি
আমার খুব পরিচিত হয়ে ওঠে,
ঈশারার ঋতি ঝলক দিলে মাটিলগ্ন ডেড়ায় আমার-
অনঅভ্যস্ততা
হিসি করে; ভুলে যাই মাটির টান।
সিঁড়ি ভাঙতে ভাঙতে অতপর যেখানে উঠে দাঁড়াই
সেখানে কোন মানুষ দেখি না-কিছু রাজনীতিবিদের বাড়ি
দেখি।
প্রেম
অস্ত্রবিরতি শেষ হয়েছে অনেক আগেই
এখন-
বন্দুক তাক করা প্রেমের উপাখ্যানগুলো বুকের ভিতরে ক্রমাগত
স্মৃতির গোলা ছুঁড়ছে আর হৃৎপিণ্ড ছিন্নকারী ভালবাসা-
শরীরে সুখের পেনশন পেয়ে অর্গানে আনন্দের সুর তুলছে;
মনে হয় স্বার্থক অন্ধকারে দাঁড়িয়ে কারা যেন
সাপের দীর্ঘ সহবাস দেখছে আর আমার কঙ্কালতান্ত্রিক সময়ে
লঘুমুষ্ঠি-
মেয়েসাপের জরায়ূতে বিষপিণ্ড দেখে না না করছে,
ফাগুনের ঝলকিত ফুল দেখে যারা আভূমি-চাষ করতে চেয়েছিল
সুভাসিত দিন,
ভুলের প্রতি ইঞ্চি জমি এখন তাদের ফসলিমাঠ আর
উজ্জ্বল কুহকের ফাঁদে তারা এখন ষড়ঙ্গধূপ-জ্বালিয়ে বলছে-
প্রেম মাটির উনুনে পড়ে হয়ে যায় কলঙ্ক তিলক-
বিষাদের নামতা শেখা বালক; দুঃস্বপ্নের ভিতর পাশফিরে
ঘুমাও
আমরা আনন্দসংগীত গাইবো।
ফুলবৃষ্টির দিনগুলো এগিয়ে আসছে পৃথিবীর প্রতি
এইভেবে-
ক্যানভাসে ব্যাঙের ফূর্তি আঁকছে কতিপয় পাতক-পাতকী
আর আমার সাদাপৃষ্ঠাগুলো ভরে তোলবার ইচ্ছেরা ধীরে ধীরে
উধাও হচ্ছে।
আওয়ার ইসলাম টোয়েন্টিফোর ডটকম /সাদী