ভাবনাবিনিময়ে অংশ নিন আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে শেয়ার করা এই পোস্টে
এ বিভাগে আমাদের ভাবনাগুলো বিনিময় করব। সমাধান করার চেষ্টা করব আমাদের শিল্প-সাহিত্য, চিন্তা ও বুদ্ধিবৃত্তিজনিত সমস্যাগুলো।
বিশ শতকের গায়ে সাঁটা ছিল আধুনিক-উত্তরাধুনিক দুই তকমা। অনেক বাতাস বয়ে গেছে এর ওপর দিয়ে। চলছে একুশ শতক। এখনও কোনও তকমা বা উপাধি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। মন্থর হয়ে যাচ্ছে পূর্বের হাওয়া। হাওয়া ধীরে ঘুরছে। পশ্চিম থেকে পুব। পুব থেকে পশ্চিম। ঠাঁয় দাঁড়াবে না ঠিক। নতুন এ উন্মাদনার সামনে কিভাবে দাঁড়াচ্ছি আমরা? আগের উন্মাদনা কিভাবে পেছনে ফেলে এসেছি? উত্তর খোঁজা দরকার। আধুনিকতাবাদ শুদ্ধ চিন্তা ও শুদ্ধ শিল্পবোধে গরল ঢেলেছে। বদলে দিয়েছে মানুষের জীবনবোধও। উত্তরাধুনিকতাবাদ এলো ক্ষাণিক পরিমিতি দিতে। পারল না। যা কিছু ঠিক ছিল তাও উলটপালট করে দিল। চলতি শতাব্দী তো পুরাই ঘিঞ্জি।
আমরা যারা ইসলামি সাহিত্য করি রয়ে গেছি সেই শুদ্ধতার যুগে। বিশ শতকের দুই হাওয়া গায়ে লাগেনি। ভালো বলব না খারাপ , বুঝতে পারছি না। তবে পৃথিবী যে দুটো সিঁড়ি টপকে গেছে আমরা তার পায়ের গোঁড়ায়। পৃথিবী যখন সদ্য প্রসবিত একুশ শতকের নাম খুঁজছে আমরা তখন বিশ শতকের জন্ম দেখার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
সাহিত্যের গায়ে জোব্বা আর মাথায় টুপি চড়িয়ে দিলে তা ইসলামি হয়ে যায় না। অথবা ইসলাম প্রচার ও প্রসারের জন্য সাহিত্য লাগে না। সুন্দর ভাষা যথেষ্ট। একুশ শতক যাকে শিল্প ও সাহিত্য বলে সে এক হাতিয়ার। বোধ ও চিন্তার লড়াইয়ের অস্ত্র। একুশ শতকি মৌল্যবোধজনিত ক্রাইসিসগুলোর মোকাবেলায় কী হবে আমাদের সেই শৈল্পিক অস্ত্র? আসুন ভাবি...
সুপ্রিয় লেখক/পাঠক, আপনার ভাবনা পাঠান নিচের মেইলে : [email protected]