জগলুল হায়দার এর পাঁচটি বারোভাজা ১ তোমার ঘরে আজ উঠেছে লক্ষ কোটি হাত, কবুল করো, করো খোদা সবার মুনাজাত। ২ নিজের কথা ভাবার পরেও পরকে খানিক ভাবা যায়; যে ভাবে না উল্টা সে দ্যাখ পরের পথে পা বাজায়। ৩ মানুষের রূপরেখা আচারেই পষ্ট, আচারে মানুষ কেউ আচারেই নষ্ট। ৪ তরমুজ আলী নাম তবু সে মুখ দিবে না তরমুজে; কয় মিয়া ভাই বিযাক্ত ফল খাইলে সিধা মরমু যে! ৫ ডোন থিংক আদারওয়ে ডোন থিংক আদারওয়াইজ; মনে রাখবা সর্বদাই- পোলার চেয়ে ফাদার ওয়াইজ! মালেক মাহমুদ এর তিনটি ছড়া রোজার হাসি রমজানের ঐ চাঁদ উঠেছে দ্যাখ চেয়ে ঐ আকাশে রোজার হাসি রোজাদারের খবর ছড়ায় বাতাসে। রাতে খাবে দিনে রোজা রোজার মিনার ঘরে রোজার আলো ঝলমলে রূপ সপ্তডিঙ্গার পরে। রোজা শুধু দিনের বেলা না খেয়ে নয় থাকা। আল্লাহভয়ে ভিতু হয়ে আল্লাহ আল্লাহ ডাকা। রোজা রাখে খায় না মুমিন আল্লাহকে ডাকে হালাল রুজির জন্য মুমিন ব্যস্ত সদা থাকে। রোজাদারের অন্তজিকির আল্লাহ পাকের নামে ইফতারিতে ঈদের হাসি তিরিশ রোজার দামে। মুমিনের কর্ম ১ মুসলিম মুমিন আল্লাহ প্রেমিক কুরানের পথে চলে প্রতিটা কর্মে জীবন মর্মে সত্যের আলো জ্বলে। দু'চোখে ঘুম রাত নিঝঝুম সুবেসাদেক দেয় তাড়া ঘুমের চেয়ে নামাজ বড় মনপাখি দেয় নাড়া। ফজরের নামাজ আদায় করে মুমিন কি আর থামে? যিকির করে কাজও করে আল্লাহ পাকের নামে। কুরান বুঝে পড়ে কুরান জীবন করে ন্যস্ত পাঞ্জেগানা পড়ে নামাজ হকের পথে ব্যস্ত। মহাকাশযানে রক্তের নদী সাঁতার কেটেছি চরে নিয়েছি যে ঠাঁই এ চরে আমার স্থায়ী নীড় হবে নাই কোন বাঁধা নাই। সমাহিত নদী ঢেউ খেলে জল জলের মাঝেই চর সবুজাভ চরে এসেছি যে একা জঞ্জালে বাঁধি ঘর। হাম্বরা ভাব করি অহরহ ভাবছি নিজেকে দামি এসেছি যখন যেতে হবে ফিরে ভুলেই বসেছি আমি। রক্ত নদীতে হাবুডুবু খেয়ে উঠেছিলাম যে যানে সেই যান সদা ফিরে নিতে হায়! আমাকেই কাছে টানে। আমি শুধু জানি মহাকাশে যাব মহাকাশযানে চড়ে তিনি শুধু এ যান চালাবেন আলোরেখা পখ ধরে। মহাকাশযানে চড়িব যে একা নাবিক হলেন সেই কোথায় থামিবে এই যান খানা আমার তো জানা নেই। হাসান আল মাহমুদ গুচ্ছ ছড়া সেই দুইজন ঈদ এলে ঠিক কার্ড দিয়ে হয় কোলাকুলি আর বাকি দিন করেন দুজন চুলাচুলি। ২ আমরা তালিবুল ফুলের মতো ফুটতে চাই আলোর দিকে ছুটতে চাই আমরা তালিবুল আমরা আলোর ফুল। ন্যায়ের কথা বলতে চাই অসত্য সব দলতে চাই আমরা তালিবুল ভাঙ্গি সকল ভুল। ৩ কাব্যখেলার বোধে শহর থেকে একটুখানি বাঁয়ে গিয়েছিলাম প্রকৃতিরই গাঁয়ে সোয়ারিঘাটের ইস্টিমারে করে নেমেছিলাম খোলামোড়া চরে। চর সেতো নয় প্রকৃতিরই ঘর ভালোবাসায় বাঁধা আপন-পর। ভাল্লাগে কি একলা একা আর নিঃসঙ্গতে জীবনটা ছারখার ঠিক সময়ে পেলাম সাদীর ডাক থাকনা বেকার-টেনশন সব থাক। তাই ছুটেছি বিকেল বেলার রোদে ভাবুক ভাবুক কাব্যখেলার বোধে। ৪ তুমি আমার সব তুমি ছাড়া এই জীবনেতো আর কিছু নেই নেই নেই। তুমি আমার রব তুমিই আমার সব। ৫ মসজিদে ভোর রাতে প্রেম প্রেম খেলা আর ভালো লাগে না মিছে মিছি লুকোচুরি ভালো লাগে না সত্যিকারের প্রেম কোথায় যে পাই মসজিদে ভোর রাতে পায়ে হেঁটে যাই। ৬ নারী আজ হাটে ঘাটে কোথা নেই ফাঁকা আজ এমনকি সংসদ খেলারও মাঠে। তবু নারী কাঁদে রোজ ধর্ষণে বিশেষ অঙ্গে বা কাম-দর্শনে। আওয়ার ইসলাম টোয়েন্টিফোর ডটকম /এসএস