মাহ্দী খান অয়ন : কতদিন হলো, প্রাণ খুলে হাসতে পারিনা। ইচ্ছে হয়, চিৎকার করে কাঁদি। কিন্তু, তাও পারি না। হৃদয়টা দুখে মোড়ানো, বেদনায় জড়ানো। কাঁদি আমি মুখ গুজে লুকিয়ে লুকিয়ে। আর দীর্ঘশ্বাস ছাড়ি নীরবে-নির্জনে।
বাতাসে ভেসে আসে লাশের গন্ধ। রক্তের গন্ধ। চোখের সামনে ভেসে উঠে কালো - কালো বীভৎস চিত্র। মনে হয় যেন, খুব কাছ থেকেই শুনছি আমি, বিপন্ন মানবতার করুণ বিলাপ। এতিম-অসহায়ের আর্তকরুণ চিৎকার। স্বজন হারানোর শোক-হাহাকার। সবখানে শুধু উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। বোবা হয়ে গেছে মানুষ। হারিয়ে ফেলেছে প্রতিবাদের ভাষা।
চারিদিকে শুধু রক্ত আর রক্ত। মাজলুমের রক্ত। আমার স্বজনের রক্ত। মুসলিম জাতির রক্ত। সবুজ-শ্যামল, উদ্যানঘেরা, বরকতময় নগরীগুলো এখন বধ্যভূমি। বিধ্বস্ত-বিধ্বংস নগরী। মুখ থুবড়ে পড়েছে বিশ্ব মানবতা। এতো মনুষ্যত্ব নয়। পশুত্বও যেন হার মেনেছে আজ। রক্ত নেশায় মেতে উঠেছে বিশ্ব জালেমরা।
বেঘোরে মরতে শুরু করেছে শত-প্রত্যাশা। নতুন করে স্বপ্ন দেখাটা বোকামি ছাড়া আর কিছু নয়। প্রতিনিয়ত দুঃস্বপ্নকে নিয়েই বেঁচে থাকতে হয়।
আচ্ছা! জালিমের জুলুমের কী শেষ নেই। রাতের তিমির গাঢ় হতে হতে আর কতটা তিমির হবে? নিশ্ছদ্র হবে?
এমন রাতের কথা তো শুনিনি কোনোদিন, যে রাতের পর ভোর আসেনা, আলোকিত ঊষা হাসে না! তাহলে, জালিম ও পাষাণেরা কেনো নিরবিচ্ছিন্ন জুলুম-নিষ্ঠুরতা চালিয়েই যাচ্ছে? ওদের জুলুম-নিষ্ঠুরতার তিমির রাতের কী শেষ নেই? তার পেছনে কী ভোর নেই?
আল্লাহ্! তুমিই পানাহ! তুমিই ত্রাতা! তুমিই উদ্ধারকারী!
তোমার নির্দেশেই তো আসে, রাতের ওর ঊষা!
মাজলুমকে উদ্ধার করো হে আল্লাহ্, জালিমের কবল থেকে!
পাঠাও কোনো সাহায্যকারী অভিভাবক! যিনি এসে জালিমের চোখে চোখ রেখে বলবেন- থামো!
আর এক ফোঁটা রক্তও ঝরবে না মাজলুমের!
মানবতার গায়ে আর হাত তুলবে না!
আর কোনো দখলদারিত্ব চলবে না!
পাততাড়ি গুটিয়ে ফিরে যাও এ পবিত্র ভূখণ্ড থেকে!
বন্ধ করো তোমাদের কালো নীতি! জুলুম-শোষণ!
জালিমের কোনো ক্ষমা নেই!
হে আল্লাহ্! কবুল করো এ যখমী দিলের আকুতি। অনুভূতি। আমীন। ইয়া রাব্বাল আলামীন।