শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


রোযার ফিদিয়া দেওয়ার বিধান

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

6136-500-375হাসান আল মাহমুদ : অতি বার্ধক্যজনিত কারণে রোযা রাখতে না পারলে বা এমন মারাত্নক ও দীর্ঘমেয়াদী রোগ যাতে সুস্থ হওয়ার আশা না থাকে এবং রোযা রাখলে ক্ষতি হওয়ার আশংকা থাকে ইত্যাদি কারণে যদি নিজের যিম্মায় ওয়াজিব হওয়া কাযা-কাফ্ফারা কিংবা উপস্থিত রমযানের রোযা রাখার উপর একেবারে অসমর্থ হয়ে পড়ে তাহলে এমতাবস্থায় সে ব্যক্তির জন্য ফিদিয়া বা ক্ষতিপূরণ দেয়া আবশ্যক। প্রতিটা রোযার পরিবর্তে সদকায়ে ফিতর পরিমান পণ্য বা তার মূল্য যাকাত খেতে পারে এমন গরীব-মিসকীনকে দান করাই হল এক রোযার ফিদিয়া। আর কাফ্ফারা বাবত বিরতিহীনভাবে ৬০ দিন রোযা রাখার সামর্থ্য না থাকা ব্যক্তির জন্য ৬০ জন গরীব-মিসকীনকে বা একজনকে ৬০ দিন পরিতৃপ্তির সাথে দু-বেলা খানা খাওয়াতে হবে বা ৬০ দিনের প্রত্যেকটা রোযার পরিবর্তে একেক মিসকীনকে সদকায়ে ফিতর পরিমান পণ্য বা তার মূল্য দিতে হবে। এক্ষেত্রে শুধু একজনকে ৬০ দিনেরটা একদিনেই দিয়ে দিলে কাফ্ফারা আদায় হবে না বরং তাতে মাত্র একদিনের কাফ্ফারা আদায় হবে।এই ফিদিয়া স্বয়ং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির উপর আবশ্যক।সে মৃত্যু বরণ করলে তার ওয়ারিসগণ তার ফিদিয়া আদায় করে দিবে।

মোটকথা, আল্লাহ তায়ালার অকাট্য বিধান পবিত্র রমযান মাসের রোযা রাখা প্রত্যেক আকেল, বালেগ, সুস্থ মস্তিষ্ক মুসলমানের জন্যে আবশ্যক ও
অত্যাবশ্যকীয়। তা না রাখলে বা উল্লেখিত বিভিন্ন কারণে ভেঙ্গে গেলে অবস্থা ভেদে শরীয়তের হুকুম বিচারে কোথাও রোযার বিকল্প আরেকটি রোযা কাযা হিসেবে আদায় করতে হবে আবার কোথাও বিকল্প রোযার সাথে সাথে কাফ্ফারা হিসেবে আরো ৬০টি রোযা একাধারে বিরতিহীন রাখতে হবে।মারাত্নক অসুস্থ, অতি বার্ধক্য কারণে জীবদ্দশায় নিজের যিম্মায় আবশ্যক হওয়া আল্লাহর ফরয বিধান রোযা রাখতে না পারলে ক্ষতিপূরণ স্বরুপ রোযার ফিদিয়া দিলে বা দেওয়ার ওসিয়ত করে গেলে কিংবা অন্য কেউ তার পক্ষ থেকে দিয়ে দিলে করুণাময় আল্লাহর ক্ষমা পাওয়ার আশা করা যায়।
(সূত্রঃরদ্দুল মুহতার ৩/৩৪৬-৩৯০ , ফতোয়া আলমগিরী ১/২০১-২০৭, ফতোয়া মাহমুদিয়া ১৫/১৬৭-২১৮,আহকামে , যিন্দেগী ২৫০-২৫৫,ফতোয়া রহীমিয়া ,৭/২৬৪-২৭২)


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ