ওয়ালি খান রাজু : মেক্সিকো উত্তর আমেরিকা মহাদেশে অবস্থিত। আয়তনে বিশ্বের ১৩ তম বৃহৎ রাষ্ট্র, এবং জনসংখ্যার ঘনত্বের দিক থেকে পৃথীবির ১১ তম দেশ। কাগজে কলমে মেক্সিকো মূলত সেক্যুলার দেশ তবে এর জনসংখ্যার ৮২ ভাগই ক্যাথলিক খ্রিস্টান।
বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হযরত মুহাম্মাদ (সা.) প্রবর্তিত ধর্ম ইসলাম আরবে জন্ম নিলেও এর বিস্তার এখন সারা বিশ্বব্যাপী, গবেষকদের মতে বিশ্বে সবচেয়ে গতিশীল ধর্ম এখন ইসলাম। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে মুসলিমরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। আছে উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকোতেও, ৮২ ভাগ খ্রিস্টানদের দেশ মেক্সিকোতে মুসলিম সংখ্যা প্রায় ১০ হাজারের কাছাকাছি। আশার কথা ইউরোপ আমেরিকার অন্যান্য দেশের মত এখন মেক্সিকোতেও ইসলাম অনেকের কাছে জনপ্রিয়।
মেক্সিকোতে আছে মসজিদ, ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারসহ নানা ইসলামি সংস্থা। মেক্সিকোর প্রথম মসজিদ হল স্থানীয় ভাষায় "মেজকোইতো সুরায়া" ।
এটি মেক্সিকোর সবচেয়ে বৃহৎ মসজিদ এবং অসাধারণ স্থাপত্যশৈলীতে স্থাপিত। এছাড়া উমার উয়েস্টান নামক ব্রিটিশ বংশোদ্ভুত মেক্সিকানের হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত ‘ইসলামিক কালচারাল সেন্টার অফ মেক্সিকো’ মেক্সিকোতে ইসলাম প্রচারে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। মেক্সিকোর উত্তরাঞ্চল এবং মধ্যাঞ্চলে বিভিন্ন মসজিদ নির্মাণ করেছে এই সেন্টারটি।
সিসিআইএম তথা ‘সেন্ট্রো কালচারাল ইসলামিক মেক্সিকো’ এর তত্ত্বাবধানে তৈরি হয়েছে দার আস সালাম নামক একটি প্রতিষ্ঠান যেখানে আছে প্রার্থনা ঘর, বিনোদন কেন্দ্র, ইসলামিক শিক্ষালয়।
মেক্সিকোতে আছে একটি হালাল হোটেল যার নাম হোটেল ওয়াসিস, এই হোটেলটি দেশটির মুসলিম নাগরিক এবং মুসলিম পর্যটকদের জন্য হালাল খাবার এবং হালাল পদ্ধতিতে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে।
মেক্সিকোতে মুসলিমদের মধ্যে সুফিবাদে বিশ্বাসীদের আলাদা সংগঠন রয়েছে, এছাড়া সালাফিবাদে বিশ্বাসীদেরও নিজেদের সংগঠন রয়েছে। মেক্সিকোর বিখ্যাত কিছু মসজিদের মধ্যে সুরিয়া মসজিদ, দার আস সালাম মসজিদ, উমার মসজিদ, তাহারাহ মসজিদ , মুরাবিতুন মসজিদ, মদিনা মসজিদ, আল হিকমাহ মসজিদ অন্যতম।
দিন যত যাচ্ছে মেক্সিকোর মুসলিম সংখ্যা তত বৃদ্ধি পাচ্ছে, মেক্সিকোর মুসলিমদের জন্য মসজিদের সংখ্যাও কম, এর সংখ্যা আরো বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। মেক্সিকোর বর্তমান পরিস্থিত দেখে বুঝা যাচ্ছে অচিরেই ৮২ ভাগ খ্রিস্টানদের দেশে মুসলিমরা অন্যতম সংখ্যালঘুর স্বীকৃতি পেতে যাচ্ছে।