মেক্সিকো: মেক্সিকোর রাজধানীতে বসবাসরত মুসলিম নাগরিকদের জন্য প্রথমবারের মতো ইসলামিক কবরস্থান তৈরি অনুমতি দিয়েছেন মেক্সিকো সিটির গভর্নর এবং মেয়র। দেশটিতে দায়িত্বরত মুসলিম দেশসমূহের রাষ্ট্রদূতদের কয়েক বছরের প্রচেষ্টায় অর্জিত হয়েছে এ সাফল্য। অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশনের (ওআইসি) সদস্য ২২টি দেশের শীর্ষ কূটনীতিকরা এখানকার মুসলিমদের স্বার্থরক্ষায় সম্মিলিতভাবে কাজ করার পাশাপাশি যার যার অবস্থান থেকে চেষ্টা চালিয়ে গেলেও কঠিন এই কর্মটি সম্পাদনের পথে লাল-সবুজ পতাকা হাতে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সুপ্রদীপ চাকমা।
ওআইসিভুক্ত দেশসমূহের প্রতিনিধিত্বকারী শীর্ষ কূটনীতিকদের নিয়মিত সর্বশেষ সভাটি সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয় মেক্সিকো সিটির বাংলাদেশ হাউজে। রাষ্ট্রদূত সুপ্রদীপ চাকমার আতিথেয়তা ও ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ওআইসি গ্রুপের ডিন কুয়েতের রাষ্ট্রদূত। গুয়েররেরো স্টেট গভর্নর এবং মেক্সিকো সিটি মেয়রের প্রতিনিধিরাও যোগ দেন এ সভায়। সেখানে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয় রাজধানীতে প্রথম কোনো মুসলিম সমাধিক্ষেত্র স্থাপনের অনুমতি পাওয়ার বিষয়টি।
মঙ্গলবার রাষ্ট্রদূত সুপ্রদীপ চাকমা এই প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, “মেক্সিকোতে বসবাসরত সকল মুসলিম নাগরিকের জন্য এটি একটি বিরাট সুসংবাদ। দীর্ঘদিন দেনদরবার করে ওআইসিভুক্ত রাষ্ট্রদূতরা আমরা সবাই মিলে অসাধ্য সাধন করেছি।”
রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, “ইসলামিক কবরস্থানের জন্য পাওয়া স্থানটিতে আমরা এখন বাউন্ডারি ওয়াল তোলার জন্য কাজ করছি। এ কবরস্থানের ব্যয়ভার বহন করতে হবে ওআইসিভুক্ত সদস্য দেশগুলোকে। মেক্সিকো সিটির বাংলাদেশ কমিউনিটিকে আমি পুরো বিষয়টি জানিয়েছি, তারা সাধুবাদ জানিয়েছে আমাদের এই কষ্টার্জিত অ্যাচিভমেন্টকে।”
সুপ্রদীপ চাকমা জানান, কবরস্থান মিশন সফল হওয়ার পর ওআইসি ডিপ্লোম্যাটদের টার্গেট এখন রাজধানীতে আগে থেকেই চেষ্টা করে যাওয়া বহুদিনের স্বপ্ন একটি ইসলামিক সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা। মেক্সিকান সরকারের সহযোগিতায় এটিও অচিরেই আলোর মুখ দেখবে বলে আশা করেন তিনি।