ঢাকা: বিগত কয়েক বছরে সংঘঠিত ব্লগার, প্রগতিশীল লেখক, প্রকাশক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত জঙ্গি সংগঠন আনসারউল্লাহ বাংলাটিমের ছয় সদস্যকে ধরতে পুরস্কার ঘোষণা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।
এরা হলেন- শরীফ, সেলিম,সিফাত,রাজু, সিহাব ও সাজ্জাদ। এদের মধ্যে শরীফ ও সেলিমকে ধরিয়ে দিতে কেউ তথ্য দিলে তাকে পাঁচ লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা করেছে ডিএমপি। তথ্য দাতা একাধিক হলে প্রত্যেককেই পাঁচ লাখ টাকা করে দেওয়া হবে।
এছাড়া সিফাত, রাজু, সিহাব ও সাজ্জাদকে ধরিয়ে দিতে তথ্য দেওয়ার জন্য পুরস্কার দেওয়া হবে মাথাপিছু দুই লাখ টাকা করে।
বৃহস্পতিবার (১৯ মে) রাতে ডিএমপি উপ-কমিশনার মারুফ হোসেন সরদার বাংলানিউজকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
ডিএমপি সূত্রে জানা গেছে, বিগত কয়েক বছরে সংগঠিত ব্লগার, প্রগতিশীল লেখক, প্রকাশক হত্যাকাণ্ডের ঘটনাগুলো অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করে আসছিল মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ।
ডিএমপি জানায়, ব্লগার হত্যা তদন্তের ধারাবাহিকতায় ১৯ ফেব্রুয়ারি বাড্ডার সাতারকুল ও মোহাম্মদপুর থেকে আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের দু’টি আস্তানায় গোয়েন্দা পুলিশ অভিযান চালায়। এর মধ্যে সাতারকুলের আস্তানায় আনসার উল্লাহ বাংলাটিমের (এবিটি) সামরিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও মোহাম্মাদপুরের আস্তানায় বোমা তৈরির প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছিল।
অভিযানে সাতারকুল আস্তানা থেকে আনসারউল্লাহ বাংলাটিমের দু্ই সদস্য গ্রেফতার হন। এসময় গোয়েন্দা পুলিশের এক সদস্য গুরুতর আহত হন। গ্রেফতারকৃতদে দেওয়া তথ্য ও সেখান থেকে পাওয়া বিভিন্ন নথিপত্রের ভিত্তিতে ঢাকার আশকোনা ও দক্ষিণখানে সংগঠনটির আরও দু’টি আস্তানার সন্ধান পাওয়া যায়। এর মধ্যে দক্ষিণখানের আস্তানা বোমা তৈরির প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও ল্যাবরেটরি হিসেবে ব্যবহৃত হতো বলে জানায় পুলিশ।
সব অভিযানে প্রাপ্ত তথ্য, চলমান মামলাগুলোর তদন্তে ও গ্রেফতারকৃত অন্যান্য আসামিদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এবিটির গুরুত্বপূর্ণ নেতৃ-স্থানীয় ব্যক্তি সমন্ধে তথ্য পাওয়া গেছে। যাদের সঠিক নাম-ঠিকানা পরিচয়সহ ধরিয়ে দেওয়ার জন্য দেশের সর্ব-সাধারণের সহযোগিতা কামনা করছে ডিএমপি।