ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর আজ। জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস। ১৯৭৫ সালের এদিন সিপাহী-জনতার বিপ্লব দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণের একটা নতুন ধারা তৈরি করেছিলো। বিশ্লেষকরা বলেছেন, ৫ আগস্ট আর ৭ নভেম্বরের বিপ্লব একই সুতোয় গাঁথা। একদলীয় কর্তৃত্ববাদী শাসন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণ, জুলুম, নির্যাতন আর দুর্নীতির মত বিষয়গুলো ৫ দশকের দূরত্ব থাকলেও একই রকম ছিলো, যা দুই গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট রচনা করেছিলো।
আজ বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, ঢাকা মহানগর উদ্যোগে খতীবে আজম মিলনায়তনে মহানগর সাধারণ সম্পাদক মুফতী দ্বীনে আলম হারুনীর সভাপতিত্বে "আলোচনা সভা" অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে পার্টির কেন্দ্রীয় মহাসচিব মাওলানা মূসার বিন ইযহার উপর্যুক্ত কথা বলেন।
মহসচিব আরো বলেন, সেই সময়ে দুর্ভিক্ষের কারণে প্রায় ১লাখের মত মানুষ না খেয়ে মারা গেছেন। দুর্ভিক্ষের পরের বছরই দেশে একদলীয় শাসনব্যবস্থা; বাকশাল প্রবর্তন করা হয়। বন্ধ করে দেয়া হয় পত্রিকাগুলো, নিষিদ্ধ করা হয় সকল রাজনৈতিক দল। এর আগে ১৯৭৩ সালের ৭ মার্চ অনুষ্ঠিত হয় স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম নির্বাচন।
তিনি বলেন, না খেতে পেরে রাস্তায় মানুষ মরে আছে। সমস্ত গ্রাম থেকে অনেক পরিবার ঢাকায় তখন চলে এসেছে। যদিও ৭ই নভেম্বরের সিপাহী জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে সেনাবাহিনী ক্ষমতার কেন্দ্রে আসতে শুরু করে কিন্তু সব মিলিয়ে এর মাধ্যমে রাজনীতিতে নতুন ধারার একটা যাত্রা শুরু হয়েছিলো, যেটা মানুষকে আশ্বস্তও করেছিলো।
সবশেষে সভাপতি বলেন, ৭৫ এর ৭ নভেম্বর এবং ২৪ এর ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে গণমানুষের প্রতিবাদের ছবিকে অনেকটা একই রঙে রঙিন হয়েছে। তিনি বলেন, ৭ নভেম্বরের ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস; চব্বিশের প্রেরণা।
হাআমা/