রবিবার, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫ ।। ৪ মাঘ ১৪৩১ ।। ১৯ রজব ১৪৪৬

শিরোনাম :
জুলাই ঘোষণাপত্রের বিষয়ে অংশীজনদের মত চেয়েছে সরকার দুদকের নতুন ডিজি আবদুল্লাহ-আল-জাহিদ মোহরানা সহজলভ্য করতে বিনা খরচে ৮ দম্পতির বিয়ে মুফতি কাজী ইব্রাহীমের ওপর হামলাকারীকে গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন মসজিদে অনুদান দেওয়ার নামে প্রতারণা, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সতর্ক বার্তা সিলেটে জামেয়া ইসলামিয়া হযরত আবু বকর সিদ্দিক রা. বিদায় অনুষ্ঠান সম্পন্ন ৩০টি কেন্দ্রে ফয়যে বর্ণভী সাবাহী মক্তব বোর্ডের ২য় কেন্দ্রীয় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত জাতীয় ঐক্য সুসংহত করতে রাজনৈতিক দলসমূহের মধ্যে আন্ত:সংলাপ জরুরি ইন্টিগ্রেটেড এডুকেশন বাংলাদেশের বার্ষিক শিক্ষা কনফারেন্স অনুষ্ঠিত নিজেদের তৈরি প্রথম পর্যবেক্ষণ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ পাকিস্তানের 

ডিভোর্সি ও বিধবাদের বিয়ের প্রচলন সহজ হোক


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

|| আবুল ফাতাহ কাসেমী ||

সাহাবীদের সময়ে একটা সুন্দর সিস্টেম ছিল। সাহাবারা কোনো নারীকে একা ফেলে রাখতেন না। সে বিধবা হোক, তালাকপ্রাপ্তা হোক, তার আবার বিয়ে হত।

আমরা দেখি, আল্লাহর রাসূলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যুগে কোনো কোনো সাহাবিয়াতের তিন-চার-পাঁচবারও বিয়ে হয়েছে! কিন্তু আমাদের বর্তমান সময়ে একজন মেয়ের এতবার বিয়ের কথা ভাবাই যায় না। ৪/৫ বার তো দূরের কথা ২য় বার বিয়েতেই কত সমস্যা।

আবু বকর, উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুম, উনাদের মত সেরা সেরা সাহাবীরাও তালাক দিয়েছেন, একাধিক বিয়ে করেছেন। তাদের তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীদের আবার অন্য সাহাবীরা বিয়ে করে নিয়েছেন।

কেউ এমন ভাবেনি, ‘নিশ্চয়ই অমুক মেয়ের দোষ আছে, নইলে কি আবু বকর-উমারের মত মানুষ তাকে তালাক দেয়! এমন মেয়েকে কে বিয়ে করে!’ বরং তারা মানুষকে মানুষ-ই মনে করতেন, ফেরেশতা মনে করতেন না।

মানুষের কিছু চাহিদা বাবা-মা-ভাই-বোন-সন্তান-সন্ততি দ্বারা পুরো করা যায় না। একজন সঙ্গী লাগে। যে বিধবা তারও একজন সঙ্গীর প্রয়োজন। যে তালাকপ্রাপ্ত তারও একজন সঙ্গী দরকার। সাহাবীদের আমলে কেউ কোনো নারীকে একাকী নিঃসঙ্গ পড়ে থাকত না। মায়ের বয়সী হোক, দাদীর বয়সী হোক, তার আগে বাচ্চাকাচ্চা থাকুক- সব রকম নারীকেই বিয়ে করে নেওয়া হত।

আল্লাহ তা’আলা আমাদেরকে ইসলাম দান করেছেন যেন আমাদের জীবনগুলো সুন্দর হয়, শান্তির হয়। একাকী পড়ে থাকার মত অসহনীয় জীবন আর কিছু নেই। তাই আল্লাহ তায়ালা বিয়ের বিধান দিয়েছেন।

বিয়ের সময় কম-বয়সী, কুমারী নারীকে বিয়ে করতে কোনো বাধা নেই। কিন্তু সমাজের সার্বিক দিকের কথা চিন্তা করে বিধবা এবং তালাক-প্রাপ্ত, গরীব, অসহায় বোনদেরও তো কাউকে না কাউকে অন্তত আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য বিয়ে করা উচিৎ।

স্বয়ং আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর প্রথম স্ত্রী খাদিজা রাদিয়াল্লাহ তায়ালা আনহা তাঁর চেয়ে বয়সে বড় ছিলেন। দুই/এক বছরের না, বেশ কয়েক বছরের বড়। এমনকি তাঁর আগে একাধিক বিয়েও হয়েছিল। অর্থাৎ তিনি কুমারী ছিলেন না। কাজেই পূর্ব বিবাহিত পাত্রীকে বিয়ের ব্যাপারে কোন ধরনের অস্বস্তিবোধের জায়গা ইসলাম দেয় না।

আমরা আসলেই গোঁড়া। একবিংশ শতাব্দীতে এসেও আমরা সাহাবীদের মত উন্নত মানসিকতা ধারণ করতে পারি না। সাহাবী-সাহাবিয়াতরা সব ক্ষেত্রেই সর্বোত্তম দৃষ্টান্ত রাখতে পেরেছিলেন।

কেএল/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ