সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪ ।। ২২ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ৪ রবিউস সানি ১৪৪৬

শিরোনাম :
এইচএসসির ফল প্রকাশ ১৫ অক্টোবর টঙ্গী ময়দানে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদের জোড় ইজতেমা ১৮ অক্টোবর ভোলায় জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দের সাথে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মতবিনিময় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগে লিগ্যাল নোটিশ বৈষম্যহীন বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় সবার সহযোগিতা প্রয়োজন : উপাচার্য ড. সৈয়দ সায়েম উদ্দিন আহম্মদ ১০০ বছর জেল খাটলেও আওয়ামী লীগের শাস্তি পূর্ণ হবে না : হাসনাত আবদুল্লাহ নিরাপদ সড়ক চাই খুলনা মহানগর শাখার বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন ১১ অক্টোবর রাজধানীতে শুরু হচ্ছে ‘ভাষা সাহিত্য সাংবাদিকতা কোর্স’, চলছে নিবন্ধন দিনাজপুর দক্ষিণ জেলা জামায়াতের মতবিনিময় ও সুধী সমাবেশ রামপুরায় ‘মদ ও নেশার কুফল এবং প্রতিকার’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

১০০ বছর জেল খাটলেও আওয়ামী লীগের শাস্তি পূর্ণ হবে না : হাসনাত আবদুল্লাহ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘গত ১৬ বছরে আওয়ামী লীগ যেসব অপরাধ করেছে, মানুষের গলা চেপে ধরেছে, আইন আদালতকে নিজের মতো বানিয়েছে, মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে, গণরুম-গেস্টরুমকে কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প বানিয়ে শিক্ষার্থীদের নির্যাতন করেছে, আগামী ১০০ বছর জেল খাটলেও তাদের শাস্তি পূর্ণ হবে না।’

সোমবার বিকেলে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে শহীদ আবরার ফাহাদের ৫ম শাহাদাত-বার্ষিকী উপলক্ষ্যে ছাত্রজনতার সংহতি সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আপনারা যারা দেশের মানুষের মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছেন, তারা যদি কখনো দেশে ফিরতে চান- ছাত্র-নাগরিক সিদ্ধান্ত নেবে আপনারা দেশে থাকতে পারবেন কি-না। ছাত্র-নাগরিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে ২৪ পরবর্তী বাংলাদেশ যতদিন থাকবে ততদিন এ দেশে ফ্যাসিবাদের দোসর, লাঠিয়াল বাহিনী ও সহযোগীদের পুনর্বাসন হবে না।

তিনি বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও তিনি ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছেন। সে ওয়েস্টার্ন ও ভারতীয় মিডিয়াকে আমাদের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে জিহাদি অভ্যুত্থান বলে প্রচারের চেষ্টা করছে। আমরা বলতে চাই, এটা কোন জিহাদি অভ্যুত্থান ছিল না, এটি ছিল জুলুমের বিরুদ্ধে মজলুমের অভ্যুত্থান। যারা দেশের প্রতিটি ইঞ্চি মাটিতে জুলুম কায়েম করেছিল, এই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা তাদের কবর রচনা করেছি। ভবিষ্যতে যারা জুলুম কায়েমের চেষ্টা করবে তাদের এ দেশের ছাত্র-নাগরিক এক হয়ে রুখে দিয়ে জুলুমকে সমূলে উৎখাত করবে।’

হাসনাত বলেন, ‘গত ১৬ বছর ধরে দেশের সকল ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেছে। আমরা অনেক শিক্ষক ও প্রক্টর দেখেছি যারা ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের প্রশ্রয় দিয়েছেন। ছাত্রলীগের হামলায় কেউ মরে গেলে সে হয় আবরার, আর যে বেঁচে যায় সে হয় শিবির। আজকে ছাত্রলীগ তুমি কোথায়, সাদ্দাম-ইনান তোমরা কোথায়? ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা ছাত্রলীগের বিষদাঁত ভেঙে দিয়েছি।’

সংহতি সমাবেশে জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী, ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি আবু সাদিক কায়েম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও একতার বাংলাদেশের মুখপাত্র তাহমিদ আল মুদাসসির চৌধুরী, বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের আব্দুল ওয়াহেদ, এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

এনএ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ