সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪ ।। ২২ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ৪ রবিউস সানি ১৪৪৬

শিরোনাম :
ভোলায় জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দের সাথে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মতবিনিময় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগে লিগ্যাল নোটিশ বৈষম্যহীন বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় সবার সহযোগিতা প্রয়োজন : উপাচার্য ড. সৈয়দ সায়েম উদ্দিন আহম্মদ ১০০ বছর জেল খাটলেও আওয়ামী লীগের শাস্তি পূর্ণ হবে না : হাসনাত আবদুল্লাহ নিরাপদ সড়ক চাই খুলনা মহানগর শাখার বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন ১১ অক্টোবর রাজধানীতে শুরু হচ্ছে ‘ভাষা সাহিত্য সাংবাদিকতা কোর্স’, চলছে নিবন্ধন দিনাজপুর দক্ষিণ জেলা জামায়াতের মতবিনিময় ও সুধী সমাবেশ রামপুরায় ‘মদ ও নেশার কুফল এবং প্রতিকার’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত সমুদ্রপথে বাংলাদেশী হাজী গ্রহণে সৌদি আরবের সম্মতি ধর্ম উপদেষ্টাকে পবিত্র  কাবার গিলাফ উপহার দিলেন সৌদি হজমন্ত্রী

সমুদ্রপথে বাংলাদেশী হাজী গ্রহণে সৌদি আরবের সম্মতি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রী ড. তাওফিক ফাউযান আল রাবিয়ার সাথে বাংলাদেশের ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন

সমুদ্রপথে বাংলাদেশ থেকে হাজী গ্রহণে সম্মতি জানিয়েছে সৌদি সরকার। তবে বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করতে হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির হজ ও উমরা বিষয়ক মন্ত্রী ড. তাওফিক ফাউযান আল রাবিয়া।

বাংলাদেশের ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেনের সঙ্গে রবিবার (৬ অক্টোবর) জেদ্দাস্থ সৌদি হজ ও উমরা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। বৈঠকটি ছিল আন্তরিক ও সৌহার্দ্যপূর্ণ।

মন্ত্রী ড. তাওফিক ফাউযান আল রাবিয়া বলেন, বাংলাদেশ থেকে সমুদ্রপথে হাজী গ্রহণে সৌদি সরকারের কোনো বাধা নেই। তবে বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করতে হবে। বাংলাদেশকেও জাহাজ কোম্পানির সঙ্গে আলোচনা করতে হবে।

পানির জাহাজযোগে ২/৩ হাজার হাজিকে পরীক্ষামূলকভাবে হজব্রত পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবে প্রেরণের ব্যাপারে বাংলাদেশ চিন্তাভাবনা করছে।

সৌদি মন্ত্রী হাজিদের জন্য বায়োমেট্রিক পদ্ধতিকে আপগ্রেড করার ব্যাপারে নিশ্চয়তা প্রদান করেন। বাংলাদেশের হজ এজেন্সির মালিক অথবা তাদের প্রতিনিধিদের হজের ২/৩ মাস আগে আবাসন ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য বারবার সৌদি আরব যেতে হয়। সেজন্য মুনাজ্জেম (মাল্টিপল) ভিসার প্রয়োজন হয়। বাংলাদেশের ধর্ম উপদেষ্টা এ ব্যাপারে হজ মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি মুনাজ্জেম ভিসা ইস্যুর আশ্বাস দেন।

রোড টু মক্কা কর্মসূচির আওতায় ঢাকার হজ ক্যাম্পে সৌদি ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করা হয় এবং হাজিদের লাগেজ সৌদি হোটেলে পৌঁছে দেওয়ার কথা। কিন্তু ২০২৩ ও ২৪ সালে বেশ কিছু লাগেজ হারিয়ে যায়। প্রসঙ্গটি তুলে ধরলে মন্ত্রী বলেন, এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ইতোপূর্বে সৌদি হজ মন্ত্রণালয় থেকে প্রতি এজেন্সিকে কমপক্ষে দুই হাজার হাজি প্রেরণের কোটা দেওয়া হয়। এ ব্যাপারে ধর্ম উপদেষ্টা ২০২৪ সালের অনুরূপ এজেন্সি প্রতি দুইশত পঞ্চাশ জন কোটা পুনঃনির্ধারণের অনুরোধ জানালে সৌদি মন্ত্রী বিষয়টি বিবেচনার আশ্বাস দেন।

দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে সৌদি হজ মন্ত্রীকে সহায়তা করেন হজ মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ক ডেপুটি মিনিস্টার ড. হাসান আল মানাখেরা ও হজ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক বদর আল সেলামী।

বাংলাদেশি টিমে ছিলেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব মু. আবদুল হামিদ জমাদ্দার, অতিরিক্ত সচিব মতিউল ইসলাম, রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ব্রিগেডিয়ার রাকিবুল্লাহ, জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ কনসুলেটের কনসাল জেনারেল, মিয়া মুহাম্মদ মঈনুল কবির, জেদ্দা হজ মিশনের কাউন্সেলর, জহিরুল ইসলাম, হজ কন্সাল মুহাম্মদ আসলামুদ্দিন, বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা ড. সাদিক হোসাইন ও জেদ্দা হজ মিশনের কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান।

হাআমা/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ