শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


শিশুসাহিত্যিক ও ছড়াকার আশরাফুল আলম পিনটু মারা গেছেন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

সাংবাদিক, শিশুসাহিত্যিক ও ছড়াকার আশরাফুল আলম পিনটু মারা গেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

আশরাফুল আলম পিনটুর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন তার সহকর্মী ও দৈনিক যুগান্তরের সাব-এডিটর তোফায়েল গাজালি।

জানা যায়, সোমবার রাত আড়াইটার দিকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) বেলা ৩টা ২০ মিনিটে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

আশরাফুল আলম পিনটুর জন্ম ১৯৬৪ সালের ১৫ মার্চ বরেন্দ্রভূমির নানাবাড়ি কাদিপুরে। দাদাবাড়ি তালপুকুর। বাবার বাড়ি রাজশাহী শহরের শালবাগান। দাদাবাডি আর নানাবাড়িতেই কেটেছে তার বেশিরভাগ সময়।

লেখালেখির শুরু ১৯৭৬ সালে। দেশের বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় লিখতেন নিয়মিত। ছােট-বড় সবার জন্যই লিখেছেন। লিখেছেন গল্প, উপন্যাস, ছড়া, কবিতা ও কলাম।

বড়দের জন্য প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ৩৫টি। ছােটদের জন্য ছড়ার বই ‘তালপাতার বাঁশি’, গল্পের বই ‘শশানতলির সার্কাস’, উপন্যাস ‘টুপিন ভাই জিন্দাবাদ’, ‘দাদুর বেড়াল’। শৈশববিষয়ক বই ‘রূপকথা নয় চুপকথা’।

লেখালেখির পাশাপাশি চাকরি করতেন দৈনিক যুগান্তরে। সম্পাদনা করতেন ছােটদের পাতা ‘আলাের নাচন’। এ ছাড়া একদিন প্রতিদিন বিভাগের বিভাগীয় সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

এছাড়া তিনি আওয়ার ইসলাম টোয়েন্টিফোর ডটকম আয়োজিত ‘ভাষা সাহিত্য সাংবাদিকতা কোর্সের প্রশিক্ষকও ছিলেন।

আওয়ার ইসলাম সম্পাদকের শোক

আশরাফুল আলম পিন্টুর ইন্তেকালে শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন আওয়ার ইসলাম সম্পাদক হুমায়ুন আইয়ুব ও টিম আওয়ার ইসলাম।

শোকবার্তায় আওয়ার ইসলাম সম্পাদক বলেন, পিন্টু ভাই খুবই সৎ ও বিনয়ী মানুষ ছিলেন। বাংলা ভাষায় শিশুসাহিত্যে তার ব্যাপক অবদান রয়েছে। শিশুতোষ ছড়া-কবিতা ও গদ্যে তার হাত খুবই শক্তিশালী ছিলো।

তার রচিত রচিত ‘রূপকথা নয় চুপকথা’ গ্রন্থটি আওয়ার ইসলাম টোয়েন্টিফোর ডটকম আয়োজিত ‘ভাষা সাহিত্য সাংবাদিকতা কোর্সের সিলেবাসে অন্তর্ভূক্ত। এছাড়াও তিনি আওয়ার ইসলাম টোয়েন্টিফোর ডটকম আয়োজিত ‘ভাষা সাহিত্য সাংবাদিকতা কোর্সের প্রশিক্ষক ছিলেন। -জানান হুমায়ুন আইয়ুব

সবশেষে তিনি বলেন, আল্লাহ তায়ালা তার সব অপরাধ ক্ষমা করে দিন। তাকে মাফ করে দিন। তার শোকাহত পরিবারকে ধৈর্য্য ধরার তাওফিক দিন।

কেএল/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ