শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


মাওলানা শামছুল হকের মৃত্যুতে জাতীয় মসজিদ খতিবের শোক

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

হাসান আল মাহমুদ: গওহরডাঙ্গা কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের মহাসচিব মাওলানা শামছুল হকের মৃত্যুতে গওহরডাঙ্গা মাদরাসার মুহতামিম, কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড গওহরডাঙ্গা বাংলাদেশের সভাপতি, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব ও খাদেমুল ইসলাম বাংলাদেশের আমীর হাফেজ মাওলানা মুফতি রুহুল আমিন গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।

শোকবার্তায় তিনি বলেন, মাওলানা শামছুল হক ছিলেন আমার বিশ্বস্ত, প্রজ্ঞাবান, চৌকস সহকারী। যে কোন কাজে তার উপর আস্থা রাখা যেত। তিনি একজন শক্তিশালী মেধাবী  সংগঠক ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে আমি একজন আস্থাবান সহকারীকে হারালাম।

তার মৃত্যুতে শোক জানিয়ে গওহরডাঙ্গা মাদরাসার নায়েবে মুহতামিম মুফতি উসামা আমীন বলেন, তিনি ছিলেন আমাদের বোর্ডের অন্যতম মুরব্বি। তিনি মেধা এবং সামাজিক প্রজ্ঞা দিয়ে যে কোন সমস্যা খুব সহজেই সমাধান করতে পারতেন। তিনি হযরত ছদর ছাহেব হুজুর রহ. এর মিশনের একজন নিবেদিত প্রান অভিভাবক ছিলেন। তিনি যেমন যোগ্য সংগঠক ছিলেন তেমনি হাদীসের দরসেও ছিলেন অসাধারণ। তার হাদিসের তাকরির ছিল মুগ্ধ করার মতো। নাহু, ছরফ, বালাগাত, মান্তেক সব বিষয়য়ের কিতাব ছিল তার মুখস্থ। তার ইন্তেকালে আমরা একজন দরদী অভিভাবক হারালাম।

আরো শোকপ্রকাশ করছেন, গওহরডাঙ্গা মাদরাসার সিনিয়র মুহাদ্দিস, মুফতি নুরুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুচ্ছালাম, বোর্ডের সহ সভাপতি মাওলানা নুরুল হক, মাওলানা কবিরুল ইসলাম, খাদেমুল ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা ঝিনাত আলী, যুগ্ম মহাসচিব মুফতি মোহাম্মদ তাসনীম, তানজীমুল মুদাররিছিন বাংলাদেশের মাওলানা আতাউর রহমানসহ প্রমুখ শীর্ষ উলামায়ে কেরাম।

উল্লেখ্য, মাওলানা শামছুল হক আজ মঙ্গলবার ২৮ মে ২০২৪ দুপুর ২.৩০ মিনিটে তিনি নিজ বাড়িতে ইন্তিকাল করেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। তিনি স্ত্রী, চার ছেলে ৪ মেয়ে সহ অসংখ্য ছাত্র, ভক্ত, গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। আগামীকাল আগামীকাল ২৯ মে বুধবার সকাল ৮.৩০ টায় ঐতিহ্যবাহী গ‌ওহরডাঙ্গা মাদ্রাসা ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে ইনশাআল্লাহ।

বোর্ড সূত্রে জানা যায়, বেফাকুল মাদারিসিল কওমিয়া গওহরডাঙ্গা বাংলাদেশ শিক্ষাবোর্ড গওহরডাঙ্গা বাংলাদেশের  দীর্ঘদিনের মহাসচিব মাওলানা শামছুল হক। কর্মজীবনের শুরু থেকেই তিনি কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড গওহরডাঙ্গা বাংলাদেশের বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৪ থেকে মৃত্যু পর্যন্ত মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেন।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মাওলানা শামছুল হক গওহরডাঙ্গা মাদরাসায় পড়া লেখা শুরু করেন। এবং গওহরডাঙ্গা মাদরাসা থেকে তিনি ১৯৬৯ দাওরায় হাদিস শেষ করেন। তিনি লালবাগ মাদরাসায়ও বেশ কিছু দিন হযরত ছদর ছাহেব হুজুর রহ. এর সুহবতে কাটান ও আত্মশুদ্ধিসহ বিভিন্ন বিষয়ে ইলম অর্জন করেন।

শিক্ষা জীবন শেষ করে তিনি বাগেরহাট জেলার মোল্লাহাট থানার বড়গুনি মাদরাসার মুহতামিমের দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে তিনি নিজ গ্রামে পুরুষ ও মহিলা মা প্রতিষ্ঠিত করে প্রতিষ্ঠাতা মুহতামিম ও শায়খুল হাদীস হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

এছাড়াও তিনি ২০১৭ সালের ১৫ মে অনুষ্ঠিত আল হাইআতুল উলয়া লিল জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশের প্রথম পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দায়িত্ব পালন করেন। এবং হাইআতুল উলয়ার স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন। তিনি কওমি মাদরাসা শিক্ষকদের বৃহৎ সংগঠন তানজিমুল মুদ্দাররিসিল কওমিয়া বাংলাদেশের সভাপতি, খাদেমুল ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সহ বিভিন্ন সামাজিক ও অরাজনৈতিক সংগঠনের দায়িত্ব পালন করেন।

হাআমা/

 


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ