শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


আলেম মুক্তিযোদ্ধা লেখক আব্দুল্লাহ বিন সাঈদ জালালাবাদী রহ. স্মরণসভা অনুষ্ঠিত


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

|| মাঈনুদ্দীন ওয়াদুদ ||

আলেম মুক্তিযোদ্ধা লেখক মাওলানা আব্দুল্লাহ বিন সাঈদ জালালাবাদী আল আযহারী রহ. স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪) বাদ আছর জাতীয় লেখক পরিষদের উদ্যোগে  এই স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়।

জাতীয় লেখক পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যাপক ডা. মাওলানা সৈয়দ শামছুল হুদা এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল গাফফারের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মরহুম লেখকের ভাই মাওলানা শেখ উবায়দুল্লাহ বিন সাঈদ জালালাবাদী।

প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন মরহুমের পুত্র মাসউদ বিন আব্দুল্লাহ বিন সাঈদ জালালাবাদী আল আজহারী।

প্রবন্ধ পাঠ করেন পরিষদের সহ-সভাপতি ও দৈনিক প্রথম আলোর নিয়মিত কলাম লেখক মুফতি শাঈখ মুহাম্মদ উছমান গনী, বিশেষ অতিথি হিসেবে আলোচনা পেশ করেন বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব মুফতি আব্দুল কাইয়ুম, লেখক সংগঠক মাওলানা রুহুল আমীন সাদী, জাতীয় লেখক পরিষদের অভিভাবক পরিষদ সদস্য মুফতি আফজাল হুসাইন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মাওলানা মাইনুদ্দীন ওয়াদুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক হাফিজুল হক ফাইয়াজ, অর্থ সম্পাদক খাইরুল বাশার, সাহিত্য সম্পাদক মুনশি মুহাম্মদ উবাইদুল্লাহ, নির্বাহী কমিটির সদস্য মুফতি মুজিবুর রহমান কাসেমী, আহমদ শফী আশরাফী, মাওলানা মানসুরুল আলম ও মিজান আল মিহাদ প্রমুখ।

সভায় বক্তারা বলেন, মাওলানা আব্দুল্লাহ বিন সাঈদ জালালাবাদী ছিলেন ক্ষণজন্মা একজন মহান পুরুষ। ইসলামিক শিক্ষার প্রচার ও প্রসারে তার অবদান অবিস্মরণীয়। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বন্ধ মাদরাসা খুলে দেওয়াসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।

মাওলানা আবদুল্লাহ বিন সাঈদ জালালাবাদী আল-আযহারী গণভবন ও সচিবালয় মসজিদের ভূতপূর্ব ইমাম ও খতিব। তিনি বাংলাদেশ জমিয়াতুল মুদাররেসিনের সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ শিক্ষা বোর্ডের সাবেক সভাপতি এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের লেখক, গবেষক ও সম্পাদক। তিনি ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড পুনর্গঠনে বিশেষ ভূমিকা রাখেন।

প্রাজ্ঞ লেখক হিসেবে তার বিশেষ সুনাম রয়েছে। তিনি ১৯৪২ সালের ২৯ মে শুক্রবার, সিলেটের টুকেরবাজার এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন। বিভিন্ন দৈনিক ও মাসিক পত্রিকায় তার শত শত প্রবন্ধ ছাপা হয়েছে। তার লিখিত, অনূদিত, সম্পাদিত পুস্তকাদির সংখ্যা শতাধিক। ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ সরকার ১৯৮৬ সালে উচ্চতর ইমাম ট্রেনিংয়ের জন্য সর্বপ্রথম যে দলকে আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠিয়েছিল, তিনি ছিলেন ওই দলের অন্যতম সদস্য।

সদালাপী হিসেবে তার ব্যাপক সুনাম রয়েছে। আলেম সমাজে তার গ্রহণযোগ্যতা ছিল প্রশ্নাতীত। দীর্ঘ জীবনে তিনি আল্লামা যফর আহমদ উসমানি (রহ.) ও মুজাহেদে আজম আল্লামা শামছুল হক ফরিদপুরী (রহ.)-সহ অসংখ্যা আলেমের সান্নিধ্য পেয়েছিলেন।

তার লিখিত গ্রন্থের অন্যতম হলো- বঙ্গবন্ধুর মহানুভবতা ও ইসলামপ্রীতি, রাসুলুল্লাহর পত্রাবলি সন্ধি চুক্তি ও ফরমানসমূহ, মাওলানা আজাদের তাফসির ২ খন্ড (১০০০ পৃ.), রাসুলুল্লাহর হজ ও উমরা অন্যতম। তিনি ১৯৭৮-২০১৬ পর্যন্ত দীর্ঘ ৩৮ বছর মহানবী স্মরণিকার সম্পাদক হিসেবে কাজ করেছেন।

হাআমা/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ