নারীদের ৪৫ থেকে ৫৫ বছরের মধ্যে রজোনিবৃত্তি হয়। ঋতুচক্র স্থায়ীভাবে বন্ধ হওয়ার সময়ে শারীরিক এবং মানসিক নানা পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যেতে হয়।
কারণ ইস্ট্রোজেন উৎপাদনের হার এই সময় থেকেই কমতে শুরু করে। এর ফলে খাবার থেকে ক্যালসিয়াম শোষণ করার যে স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, তার গতিও শ্লথ হয়ে যেতে থাকে। ধীরে ধীরে হাড় দুর্বল হয়ে পড়ে। বয়স বাড়লে হাড় ক্ষয়ে যাওয়া বা অস্টিয়োপোরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যেতে থাকে।
চিকিৎসকরা বলছেন, এই ধরনের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকা প্রয়োজন। কিন্তু সন্তান প্রসব বা রজোনিবৃত্তির পর হরমোনের হেরফেরে শরীর থেকে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ লক্ষণীয় ভাবে কমতে থাকে। ফলে হাড় ভঙ্গুর হয়ে পড়ে। রজোনিবৃত্তির পর এই সমস্যা মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। ফলে হাড় দুর্বল হয়ে ভেঙে যাওয়ার প্রবণতাও বেড়ে যায়। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন কীভাবে?
ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করতে দুধ বা দুগ্ধজাত খাবারই একমাত্র ভরসা। এছাড়া ডিম, মাছ, মাংস, বাঁধাকপির মধ্যেও ক্যালসিয়াম রয়েছে। হাড় ভালো রাখতে ক্যালসিয়ামের পাশাপাশি শরীরে ভিটামিন ‘ডি’ বা ফসফরাসের মতো খনিজের অভাব যাতে না ঘটে, সে খেয়ালও রাখতে হবে।
এনএ/