বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৭ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২ জিলকদ ১৪৪৬


নবী করীম (সা.) সকালবেলায় কী করতেন?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মানবজাতির সর্বোত্তম আদর্শ হযরত মুহাম্মদ (সা.)। তাঁর প্রতিটি কাজেই রয়েছে আমাদের জন্য পথনির্দেশ। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে  হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সকালবেলার রুটিন অনুসরণ করলে যেমন দ্বীন পালন সহজ হয়, তেমনি আসে দুনিয়ার সাফল্যও। হাদীস ও সিরাত গ্রন্থ থেকে পাওয়া যায় তাঁর কিছু গুরুত্বপূর্ণ সকালের অভ্যাস, যা আজকের মুসলমানদের জন্য এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
 ১. ফজরের নামাজ ও মসজিদে জামাত
 প্রিয়নবি (সা.) ফজরের নামাজ সর্বদা জামাতে আদায় করতেন এবং সাহাবিদেরও তা করার নির্দেশ দিতেন।
হাদীস:
“ফজরের দুই রাকাত সুন্নত দুনিয়া ও দুনিয়ার সমস্ত সম্পদের চেয়েও উত্তম।” (মুসলিম)
 ২. নামাজের পর আল্লাহর জিকির
 ফজরের পর প্রফেট (সা.) আল্লাহর জিকিরে মগ্ন থাকতেন। তাসবিহ, তাহমিদ, তাকবির ও ইস্তিগফার পড়তেন।
 ৩. সূর্যোদয় পর্যন্ত বসে ইবাদত
 রাসূল (সা.) ফজরের নামাজের পর সূর্য ওঠা পর্যন্ত বসে যিকির করতেন।
হাদীস:
“যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ জামাতে পড়ে বসে বসে আল্লাহকে স্মরণ করে এবং সূর্যোদয়ের পর দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ে, সে পূর্ণ হজ ও উমরার সাওয়াব পায়।” (তিরমিযি)
 
 ৪. সকাল সকাল কাজ শুরু করা
 রাসূল (সা.) সকালে কাজে বের হওয়াকে বরকতের উৎস বলেছেন।
হাদীস:
“হে আল্লাহ! আমার উম্মতের সকালের সময়টিকে বরকতময় করে দাও।” (তিরমিযি)
 তাই, তিনি সাহাবিদের সকালেই ব্যবসা, খেতখামার বা কর্মক্ষেত্রে বের হওয়ার উৎসাহ দিতেন।
 
৫. পরিচ্ছন্নতা ও আত্মউন্নয়ন
সকালবেলায় ওজু, মিসওয়াক, ও সুন্নত মোতাবেক পরিচ্ছন্নতা পালন করতেন। তাঁর পোশাক পরিচ্ছদ, ঘ্রাণ ব্যবহার, এবং হাসিমুখে মানুষের সাথে দেখা করাও ছিলো সকালবেলার রুটিনের অংশ।

এনএইচ/


সম্পর্কিত খবর