দোয়া একটি স্বতন্ত্র ইবাদত। বান্দা আল্লাহর নিকট দোয়া না করলে আল্লাহ রাগান্বিত হন। তিনি বান্দার ডাকে সর্বদা সাড়া দেন। আল্লাহ কোরআনে বলেন, তোমরা আমাকে ডাক, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব। (সুরা মুমিন:৬০)
একটি সুন্দর ও কল্যাণময় রাষ্ট্র গঠনের জন্য, দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার জন্য মুমিন অবশ্যই মহান সর্বপ্রথম আল্লাহর করুণাপ্রার্থী হবেন। এরপরেই নিজ নিজ দায়িত্ব-কর্তব্য যথাযথ পালন করবেন। যেমনটি করেছিলেন হজরত ইবরাহিম আ.। পবিত্র কুরআনে সেই দোয়াটি মহান আল্লাহ তুলে ধরেছেন।
দোয়াটি হলো—
رَبِّ اجْعَلْ هٰذَا الْبَلَدَ اٰمِنًا وَّ اجْنُبْنِیْ وَ بَنِیَّ اَنْ نَّعْبُدَ الْاَصْنَامَ
উচ্চারণ : ‘রাব্বিঝআল হাজাল বালাদা আমিনাও ওয়াঝনুবনি ওয়া বানিয়্যা আন-না’বুদাল আচনাম।’
অর্থ: ‘হে আমার রব! এই শহরকে করুন নিরাপদ এবং আমাকে ও আমার সন্তান-সন্ততিকে প্রতিমার পূজা থেকে দূরে রাখুন।’ (সুরা ইবরাহিম: ৩৫)
আল্লাহ তায়ালা হজরত ইবরাহিম আ.-এর দোয়া কবুল করে নেন। ফলে পবিত্র মক্কা নগরীতে রেখে আসা স্ত্রী পুত্রসহ সবাই শান্তি ও নিরাপত্তার সঙ্গে জীবন যাপন করতে লাগলেন। শিরক ও অশান্তি দূরভীত হয়ে গেল। পবিত্র মক্কা নগরীকে মহান আল্লাহ তাঁর নেয়ামত, শান্তি ও নিরাপত্তার শহর হিসেবে কবুল করে নেন। যে শান্তি ও নিরাপত্তা আজো বিদ্যমান।
সুতরাং প্রত্যেক মুমিন মুসলমানের উচিত নিজ দেশ ও শহরের জন্য মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করা। আল্লাহ তায়ালা আমাদের এই প্রিয় মাতৃভূমিসহ প্রতিটি মুসলিম ভূখণ্ডকে রক্ষা করুন, সবাইকে ঈমান ও ইসলামের সাথে কবুল করুন, সর্বপ্রকার কল্যাণ দান করুন। আমিন।
এনএ/