রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের বিকল্প নেই: তারেক রহমান জমিয়তের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হলেন শায়খ মাওলানা আবদুর রহীম ইসলামাবাদী কুমিল্লায় আন্তর্জাতিক ইসলামী মহাসম্মেলন আগামীকাল মাওলানা মনসুরুল হাসান রায়পুরীর ইন্তেকালে চরমোনাই পীরের শোক প্রকাশ জমিয়ত সভাপতি মাওলানা মনসুরুল হাসান রায়পুরী রহ.-এর বর্ণাঢ্য জীবন কওমি সনদকে কার্যকরী করতে ছাত্রদল ভূমিকা রাখবে: নাছির বড় ব্যবধানে জিতে প্রথমবারের মতো পার্লামেন্টে যাচ্ছেন প্রিয়াঙ্কা আইফোনে ‘টাইপ টু সিরি’ ফিচার যেভাবে ব্যবহার করবেন  স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা জাতীয়করণের দাবি অত্যন্ত যৌক্তিক: ধর্ম উপদেষ্টা আল্লাহকে পেতে হলে রাসূলের অনুসরণ অপরিহার্য: কবি রুহুল আমিন খান

গোসল ফরজ হলে কি সেহরি খাওয়া যাবে?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

পবিত্র রমজান মাসে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা সংযমের সঙ্গে এই মাসে ইবাদত করবেন। এ জন্য এই মাসে পবিত্রতার বিষয়ে সবাই বেশ সতর্ক থাকেন। কিন্তু কখনো রাতে স্বপ্নদোষ বা সহবাসের কারণে গোসল ফরজ হয়ে যায়। কিন্তু এই অবস্থায় সেহরি খাওয়া যাবে কিনা- এ নিয়ে অনেকের মধ্যে নানা প্রশ্ন থাকে।

বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সা. থেকে এই বিষয়ে দুভাবে বর্ণিত আছে- গোসল ফরজ হওয়ার পর খাওয়া-দাওয়া ও অন্যান্য কাজের আগে পবিত্র হওয়া উত্তম। তবে তা জরুরি নয়। গোসল ছাড়াও খাওয়া যায়। তাই গোসল ফরজ হলেও সেহরি খেতে পারবেন।

এদিকে ফকিহবিদদের মত অনুযায়ী, গোসল ফরজ হওয়ার পর গোসল না করে সেহরি করে রোজা রাখলেও রোজা সহি হবে। তবে ফজরের ওয়াক্ত থাকা সময়েই গোসল সম্পন্ন করে সময়মত নামাজ পড়তে হবে।

এই বিষয়ে মুসলিম শরিফের ২৫৯২ নম্বর হাদিসে উল্লেখ রয়েছে, গোসল ফরজ হওয়ার পরও কোনো কারণ ছাড়াই গোসল না করে অপবিত্র অবস্থায় এক ওয়াক্ত নামাজের সময় পার করা মারাত্মক গোনাহ।

ইসলামী আইন ও ফেকাহশাস্ত্রবিদেরা বলেন, স্বপ্নদোষ হলে গোসল ফরজ হয়। আর গোসল ফরজ অবস্থায় নামাজ, তাওয়াফ, কুরআন তেলাওয়াত ও স্পর্শ করা এবং মসজিদে প্রবেশ করা ছাড়া অন্যান্য সবধরনের কাজ করা যায়। -(বুখারী ২৭৯) সুতরাং সেহরিও খাওয়া যাবে।

আলেমরা বলেন, তবে মনে রাখতে হবে, গোসল ফরজ হওয়া সত্ত্বেও কোনো কারণ ছাড়া অপবিত্র অবস্থায় এক ওয়াক্ত নামাজের সময় অতিবাহিত হয়ে যাওয়া মারাত্মক গোনাহ। (বাদায়ে ১/১৫১)

নওফেল বিন মুআবিয়া রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যার নামাজ কাজা হয়ে গেল, যেন তার পরিবার ও সম্পদ সবই ধ্বংস হয়ে গেল। (মুসনাদে আহমাদ ২৩৬৪২) সুতরাং ফজর নামাজের আগেই গোসল করে নামাজ আদায় করতে হবে।

এনএ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ