রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের বিকল্প নেই: তারেক রহমান জমিয়তের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হলেন শায়খ মাওলানা আবদুর রহীম ইসলামাবাদী কুমিল্লায় আন্তর্জাতিক ইসলামী মহাসম্মেলন আগামীকাল মাওলানা মনসুরুল হাসান রায়পুরীর ইন্তেকালে চরমোনাই পীরের শোক প্রকাশ জমিয়ত সভাপতি মাওলানা মনসুরুল হাসান রায়পুরী রহ.-এর বর্ণাঢ্য জীবন কওমি সনদকে কার্যকরী করতে ছাত্রদল ভূমিকা রাখবে: নাছির বড় ব্যবধানে জিতে প্রথমবারের মতো পার্লামেন্টে যাচ্ছেন প্রিয়াঙ্কা আইফোনে ‘টাইপ টু সিরি’ ফিচার যেভাবে ব্যবহার করবেন  স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা জাতীয়করণের দাবি অত্যন্ত যৌক্তিক: ধর্ম উপদেষ্টা আল্লাহকে পেতে হলে রাসূলের অনুসরণ অপরিহার্য: কবি রুহুল আমিন খান

রমজান মাসের গুরুত্বপূর্ণ আমল

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

রমজান মাস সিয়াম সাধনার মাস, দোয়া কবুলের মাস। রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের এ মাস অন্য সব মাস থেকে অধিক ফযিলতপূর্ণ। এ মাসেই মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআন নাজিল করেছেন। এ মাসের একটি নফল ইবাদত একটি ফরজ ইবাদতের সমতুল্য। তাই এই মাসে বেশি বেশি আমল করা উচিত।

জেনে নিই সেসব আমল সম্পর্কে-

১. রোজা রাখা: রমজানের চাঁদ দেখা গেলে বা রমজান শুরু হলে মুমিনের প্রধান আমল হলো রোজা রাখা। কেননা, ইসলামের তৃতীয় স্তম্ভ রোজা, যা মুসলমানদের জন্য ফরজ করা হয়েছে।
 
আল্লাহপাক পবিত্র কোরআনে বলেছেন, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেরূপ ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের ওপর, যেন তোমরা পরহেজগারি অর্জন করতে পার।’ (সূরা আল-বাক্বারাহ, ১৮৩)
 
রাসূলুল্লাহ সা. এরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি রমজান মাসে পুরো মাস ইমান ও ইখলাসের সঙ্গে রোজা রাখবে আল্লাহপাক তার পেছনের সব গুনাহ মাফ করে দেবেন।’
 
২. তারাবি নামাজ আদায় করা : তারাবি সালাত আদায় করা সুন্নাত। রমজান মাসে এশার সালাতের পর তারাবি সালাত আদায় করা। 
 
৩. ইফতার করা: ইফতার করা রমজান মাসের গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল।
 
৪. ইফতারের আগে দোয়া করা: ইফতারের আগে দোয়া করা রমজানের আরকেটি গুরুত্বপূর্ণ আমল। কেননা ওই সময়ের দোয়া আল্লাহ কবুল করেন।
 
৫. সেহরি করা: ইফতারের মতো সেহরি করাও রমজান মাসের গুরুত্বপূর্ণ আমল।
 
৬. অন্য রোজাদার ব্যক্তিকে ইফতার করানো: রমজান মাসের অন্যতম একটি সওয়াবের কাজ অন্য রোজাদার ব্যক্তিকে ইফতার করানোর চেষ্টা করা।

৭. তাওবা ও ইস্তিগফার করা : সর্বদা তাওবা করা ওয়াজিব, বিশেষ করে রমজান মাসে তাওবা করা উচিত। এ মাসে তাওবার অনুকূল অবস্থা বিরাজ করে। শয়তানকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করা হয়, জাহান্নাম থেকে মানুষকে মুক্তি দেওয়া হয়। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি রমজান মাস পেয়েও তার পাপ ক্ষমা করাতে পারেনি, তার নাক ধুলায় ধূসরিত হোক। ’ (জামেউল উসুল, হাদিস : ১৪১০)

৮.বেশি বেশি নেক আমল করা : রমজান মাসে অধিক হারে নেক আমলের চেষ্টা করা প্রত্যেক মুসলিম নর-নারীর জন্য একান্ত আবশ্যক, বিশেষ করে রমজানের শেষ দশকে। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘যখন রমজানের শেষ দশক এসে যেত, রাসুলুল্লাহ (সা.) তখন রাত জাগরণ করতেন, পরিবারবর্গকে নিদ্রা থেকে জাগিয়ে দিতেন, লুঙ্গি শক্ত ও ভালো করে বেঁধে (প্রস্তুতি গ্রহণ) নিতেন। ’ (মুসলিম, হাদিস : ১১৭৪)

অধিক দান-সদকা করা: আল্লাহর রাসূল সা. রমজান মাসে বেশি বেশি দান-সদকা করতেন। তাই আমাদেরও উচিত রমজান মাসে বেশি বেশি দান-সদকা করা।
 
৯. ওমরা করা: রমজান মাসের বিশেষ আমল হলো সামর্থ্য থাকলে ওমরা করা।
 
১০. ইতেকাফ করা: রমজান মাসের শেষ ১০ দিন মসজিদে ইতেকাফ করা গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল। 

এনএ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ