|| হাসান আল মাহমুদ ||
আগুনে পুড়ে মারা যাওয়া ব্যক্তিকে শহীদ বলে আখ্যা দিয়েছেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব মহানবী হজরত মোহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম)।
সহীহ হাদিসগ্রন্থ ‘আবু দাউদ’-এর বরাতে জানা যায়, ‘‘বিখ্যাত সাহাবী আবদুল্লাহ ইবনে জাবের তার বাবার সূত্রে বর্ণনা করেন, তার বাবা জাবের রা:-কে তার রোগশয্যায় দেখতে গেলেন রাসূলুল্লাহ (সাঃ)। তখন সেখানে দেখলেন নারীরা কেঁদে কেঁদে বলছে, আমরা মনে করেছিলাম, তুমি আল্লাহর রাস্তায় শহীদ হয়ে মৃত্যুবরণ করবে’।
মহানবী সা: তাদের থামিয়ে বলেন, ‘আল্লাহর রাস্তায় শহীদ না হলে তোমরা কাউকে শহীদ মনে করো না? এমন হলে তো তোমাদের শহীদের সংখ্যা অতি অল্পই হবে’।
মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঘোষণা দেন, ‘আল্লাহর রাস্তায় নিহত ব্যক্তি শহীদ, পেটের পীড়ায় মৃত ব্যক্তি শহীদ, আগুনে পুড়ে মৃত ব্যক্তি শহীদ, পানিতে ডুবে মৃত ব্যক্তি শহীদ, কোনো কিছুর নিচে চাপা পড়ে মৃত ব্যক্তি শহীদ, নিউমোনিয়া জাতীয় কঠিন পীড়ায় মৃত ব্যক্তি শহীদ, যে নারী গর্ভাবস্থায় মৃত্যুবরণ করে সেও শহীদ…। সূত্র: আবু দাউদ: ৩১১১
এদিকে, ইসলামিক স্কলাররা ‘আগুনে পুড়ে মারা গেলে শহীদ হওয়ার বিষয়কে’ শর্তসাপেক্ষে বলে উল্লেখ করেন।
তারা বলেন, ‘হাদিস অনুযায়ি আগুনে পুড়ে মারা গেলে কিংবা পানিতে ডুবে মারা গেলে শহীদের মর্যাদা দেওয়া হবে—এই কথাটি সত্য। কিন্তু শহীদের মর্যাদা পাওয়া আর শহীদ হওয়া এক কথা নয়, সেটি খেয়াল রাখতে হবে। এখানে যত ফজিলতের হাদিস আছে, সবগুলো শর্ত সাপেক্ষে। এগুলো আমাদের বুঝতে হবে’।
‘শহীদ হওয়ার জন্য ঈমান থাকা’কে শর্ত বলে উল্লেখ করে তারা বলেন, ‘অবশ্যই তাঁর মৃত্যু হতে হবে ঈমানের উপর। এমন কোনো কাজের সঙ্গে তিনি যুক্ত থাকতে পারবেন না, যা ইসলামের পরিপন্থি। যিনি নিয়মিত কবিরাহ গুনাহ করেছেন, তিনি শহীদের মর্যাদা পাবেন না’।
হাআমা/