বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ।। ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬


অল ইন্ডিয়া পায়াম-ই-ইনসানিয়ত ফোরামের বার্ষিক সভা অনুষ্ঠিত

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

|| সাঈদ আবরার ||

আজ রায়বেরেলির তাকিয়া কিলানে অল ইন্ডিয়া পায়াম-ই-ইনসানিয়ত ফোরামের বার্ষিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ফোরামের আমীর, দারুল উলুম নদওয়াতুল উলামা লখনউ-এর রেক্টর মাওলানা সাইয়্যেদ বিলাল আব্দুল হাই হাসানি নদভি এ সভায় সভাপতিত্ব করেন।

এই গুরুত্বপূর্ণ আয়োজনের উদ্দেশ্য ছিল শান্তি, সম্প্রীতি এবং মানবতার বার্তা প্রচার করা, যা বর্তমানে বিশ্বজুড়ে অগ্রগণ্য প্রয়োজনীয়তা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সভায় ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে ৩০০ এরও বেশি প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন, যারা একত্রিত হয়ে বর্তমান সময়ে শান্তি ও মানবিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় একত্রে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। আলোচনার মূল বিষয় ছিল দেশের প্রতিটি নাগরিকের পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ বাড়ানো, যাতে ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ভেদাভেদ দূর করা যায় এবং একটি ঐক্যবদ্ধ, সুশৃঙ্খল সমাজ প্রতিষ্ঠা সম্ভব হয়।

মাওলানা সাইয়েদ বিলাল হাসানি নদভি সভায় বলেন, “এখন সময় এসেছে মানবতার বার্তা বিশ্বের সকল মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার। ধর্ম, জাতি, বর্ণ নির্বিশেষে সকলেই মানবতার অংশ, মুসলমানদেরকে সকল মানুষের জন্য নির্বাচন করা হয়েছে এবং অশান্ত এই পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠায় আমাদেরই কাজ করতে হবে।"

ফোরামের প্রতিনিধি সদস্যরা নিজেদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একটি শক্তিশালী, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এবং মানবিক মূল্যবোধে বলীয়ান সমাজ গঠনের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। পাশাপাশি, সভায় পায়াম-ই-ইনসানিয়ত (মানবতার বার্তা) প্রচারের জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণের পরিকল্পনাও গ্রহণ করা হয়।

এছাড়া, অনুষ্ঠানে উপস্থিত সদস্যরা সামাজিক ঐক্য ও শান্তির জন্য একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন এবং এই উদ্যোগের আওতায় দেশের বিভিন্ন অংশে আরও সচেতনতা সৃষ্টি করার ব্যাপারে আলোচনা করেন।

অল ইন্ডিয়া পায়াম-ই-ইনসানিয়ত ফোরাম আশা প্রকাশ করেছে যে, এই ধরনের উদ্যোগ দেশব্যাপী শান্তি ও সম্প্রীতির পরিবেশ তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এবং একটি শক্তিশালী মানবিক সমাজ গড়ে তুলবে।

উল্লেখ্য , পায়াম-ই ইনসানিয়াত পৃথিবী খ্যাত ভারতীয় আলেম চিন্তাবিদ, দার্শনিক সাইয়েদ আবুল হাসান আলী হাসানী নদভীর চিন্তা ও দর্শনের আলোকে প্রতিষ্ঠিত একটি অরাজনৈতিক সামাজিক, আধ্যাত্মিক, মানবিক ও দাওয়াতি সংগঠন। তিনি ১৯৫১ সালে অনানুষ্ঠানিকভাবে সংগঠনটির গোড়াপত্তন করেন, যা ১৯৭৪ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করে।

মানবিক মূল্যবোধের ভিত্তিতে সকল সম্প্রদায়ের মাঝে প্রেম-ভালোবাসা ও সৌহার্দ্য-সম্প্রীতির পরিবেশ গড়ে তোলার এই অভূতপূর্ব মিশন ইতোমধ্যে ভারতে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।

কেএল/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ