এ বছর রসায়নে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন তিন বিজ্ঞানী মুঙ্গি জি. বাভেন্দি, লুই ই. ব্রুস ও অ্যালেক্সেই আই. আকিমভ। কোয়ান্টাম বিন্দুর আবিষ্কার এবং সংশ্লেষণের জন্য তাদের এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৪ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় বিকেল পৌনে ৪টায় সুইডেনের স্টকহোমে রয়্যাল সুইডিস একাডেমি বিজয়ী হিসেবে তাদের নাম ঘোষণা করে।
২০২২ সালে রসায়নে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন মার্কিন বিজ্ঞানী ক্যারোলিন আর বেরতোজি, কে বেরি শার্পলেস ও ডেনিশ বিজ্ঞানী মর্তেন মেলদাল। ক্লিক রসায়ন এবং বায়োর্থোগোনাল রসায়নে অগ্রগতির জন্য এই বিজ্ঞানীরা রসায়নে নোবেল পান।
প্রতিবছর অক্টোবরের প্রথম সোমবার থেকে শুরু হয় নোবেল পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা। সেই হিসেবে এবারও নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা শুরু হয় সোমবার (২ অক্টোবর) থেকে। সাধারণত নোবেল শান্তি পুরস্কার ঘোষণা হয় নরওয়ে থেকে। সাহিত্য ও অর্থনীতির মতো পুরস্কারগুলো ঘোষণা হয় সুইডেন থেকে।
সোমবার চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল বিজয়ী হিসেবে হাঙ্গেরিয়ান-মার্কিন গবেষক কাতালিন কারিকো ও মার্কিন বিজ্ঞানী ড্রিউ ওয়েইজম্যানের নাম ঘোষণা করে রয়্যাল সুইডিস একাডেমি। কভিড ১৯-এর বিরুদ্ধে কার্যকর এমআরএনএ টিকার বিকাশে সহায়ক নিউক্লিওসাইড বেস পরিবর্তনের বিষয়ে আবিষ্কারের জন্য এই পুরস্কার দেওয়া হয় তাদের।
এরপর মঙ্গলবার পদার্থে নোবেল বিজয়ী হিসেবে মার্কিন বিজ্ঞানী পিয়েরে অ্যাগোস্টিনি, হাঙ্গেরির বিজ্ঞানী ফ্রান্ক রাউস এবং ফরাসি বিজ্ঞানী অ্যান ল’হুইলিয়ারের নাম ঘোষণা করে রয়্যাল সুইডিস একাডেমি। পদার্থের ইলেক্ট্রন গতিবিদ্যায় বিশেষ অবদান রাখায় তাদের এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
সুইডিশ বিজ্ঞানী ও ডিনামাইটের উদ্ভাবক আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুর ৫ বছর পর (১৯০১ সাল) তার নামে ও রেখে যাওয়া অর্থে এই পুরস্কার দেওয়া হয়। পরে এতে যুক্ত হয় অর্থনীতি। আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুর দিন প্রতিবছর ডিসেম্বরের ১০ তারিখ বিজয়ীদের হাতে পুরস্কারের অর্থ তুলে দেওয়া হয়। এ সময় তাদের একটি সনদ ও একটি স্বর্ণপদক দেওয়া হয়।
তবে এ বছর থেকে পুরস্কারের অর্থমূল্য আগের চেয়ে বেড়েছে। আগে এটি ছিল ৮৯ হাজার মার্কিন ডলার। এবার তা বাড়িয়ে নয় লাখ ৮৯ হাজার ডলার করা হয়েছে।
টিএ/