সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান জানিয়েছেন, ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার অনেকটাই কাছে তার দেশ। পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলের অনেক দেশই সৌদির পথেই হাঁটছে।
ফক্স নিউজকে ক্রাউন প্রিন্স বলেন, 'প্রতিদিনই আমরা আরো কাছাকাছি চলে আসছি।'
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন সৌদি আরব ও ইসরাইলের মধ্যে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে ব্যাপক চেষ্টা চালাচ্ছে। মার্কিন কর্মকর্তারা একান্ত আলোচনায় বলে থাকেন যে ২০২৪ সালের নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাইডেনের পুনঃনির্বাচনের ক্ষেত্রে ইসরাইল-সৌদি আরব সম্পর্ক স্বাভাবিক করা গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে পরিণত হয়েছে।
ইসরাইলের সাথে সৌদি আরবের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে যেসব শর্ত রয়েছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে ফিলিস্তিনিদের প্রতি ইসরাইলের সম্ভাব্য ছাড় প্রদান, সৌদি আরবকে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা প্রদান এবং দেশটিকে বেসামরিক পরমাণু প্রযুক্তি হাসিলে সহায়তা প্রদান করা।
ফক্স নিউজকে প্রিন্স মোহাম্মদ বলেন, রিয়াদের কাছে ফিলিস্তিনি ইস্যুটি 'খুবই গুরুত্বপূর্ণ।' তিনি বলেন, আমরা এই অংশের সমাধান চাই।
তিনি বলেন, 'বিষয়টি কোথায় যায়, তা আমরা দেখতে চাই। আমরা আশা করছি, আমরা এমন এক স্থানে পৌঁছাতে পারব, সেখানে ফিলিস্তিনিদের জীবন সহজ হবে, ইসরাইলকে মধ্যপ্রাচ্যের একটি খেলোয়াড় হিসেবে পাব।'
ক্রাউন প্রিন্স আরো বলেন, ইরানের কাছে পরমাণু অস্ত্র রয়েছে। সৌদি আরবের কাছেও 'থাকা উচিত।'
ইরানের সাথে কিছুদিন আগে পর্যন্ত সৌদি আরবের প্রবল বৈরী সম্পর্ক ছিল। তবে চীনের কূটনৈতিক চেষ্টায় গত মার্চে দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক হয়।
তেহরান তাদের কাছে পরমাণু অস্ত্র থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেছে। তবে অনেকেই মনে করে, ইরানের কাছে পরমাণু অস্ত্র রয়েছে।
সূত্র: আল জাজিরা
টিএ/