ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম, পীর সাহেব চরমোনাই আজ ১১ মে রোববার এক বিবৃতিতে বলেছেন, আওয়ামী লীগ যে মাত্রায় অপরাধ করেছে তাতে অভ্যুত্থান পরবর্তী সরকারের প্রথম কার্যদিবসেই আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হওয়া উচিত ছিল। সরকার তা করে নাই। আমরা বারংবার বিভিন্নভাবে এই বিষয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হলো, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করতে জনতাকে বৈশাখের প্রচণ্ড তাপদাহের মধ্যে লাগাতার আন্দোলন করতে হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থান অবরোধ করতে হয়েছে। তথাপিও গতকাল উপদেষ্টা পরিষদ যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাকে আমরা সাধু্বাদ জানাই।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির বলেন, মানুষের প্রত্যাশা ছিল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হবে। কিন্তু উপদেষ্টা পরিষদ আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে। এতে জনতার প্রত্যাশার একাংশ পূরণ হয়েছে। আমরা চাই অতি দ্রুততার সাথে বিচারিক প্রক্রিয়ায় আওয়ামী লীগের নেতাদের বিচার শেষ করে রায় বাস্তবায়ন করা হবে এবং দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হবে। বিগত নয় মাসের মতো এই ক্ষেত্রে টালবাহানা করলে জনতা সরকারের ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবে।
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, ইসলাম ইনসাফে বিশ্বাস করে। তাই যে কাউকে শাস্তির আওতায় আনার ক্ষেত্রে বিচারিক প্রক্রিয়াকে আমরা সর্বদাই গুরুত্বারোপ করি। আওয়ামী লীগ যতবড় স্বৈরাচারই হোক বা তার পাপের বোঝা যত বড়ই হোক, আমরা চাই আওয়ামী লীগের শাস্তি বিচারিক প্রক্রিয়াতেই হোক। তবে বিচারিক প্রক্রিয়ার কথা বলে দিনের পর দিন অপরাধীরা ঘুরে বেড়াবে, দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাবে তা সহ্য করা হবে না। তাই দ্রুততার সাথে আওয়ামী অপরাধীদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর বিপ্লবী জনতাকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, বৈশাখের প্রচন্ড খরতাপের মধ্যে আপনারা যেভাবে রাজপথে অবস্থান করেছেন, তা জাতিকে আবারো উজ্জিবিত করেছে। অধিকার আদায়ে আমাদের এই বিপ্লবী মানসিকতা যতদিন অটুট থাকবে ততদিন কেউ এই জাতিকে পদানত করতে পারবে না ইনশাআল্লাহ।
এমএইচ/