বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫ ।। ২৫ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ১০ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
পাকিস্তানের ভয়ে ভারতের অম্রিতসারে ফের ব্ল্যাকআউট, ঘরে থাকার নির্দেশ গোপন নথিতে স্ত্রীকে লেখা লাদেনের চিঠি ও মুসলিম রীতিতে দাফনের ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয়ে হিজাব নিষিদ্ধ করতে চান ফরাসি মন্ত্রী ইত্তেফাকুল মাদারিসিল ক্বাওমিয়্যাহ কেরানীগঞ্জের শিক্ষক সম্মেলন অনুষ্ঠিত শাপলা ও পিলখানার বিচার দাবিতে জমিয়তের বিক্ষোভ মিছিল সামরিক হামলার নিন্দা জানিয়ে শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান তারেক রহমানের ভারতকে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা বন্ধ করতে হবে: ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ হজযাত্রীদের সবধরনের সুবিধা দেওয়ার নির্দেশ সৌদি যুবরাজের নারী কমিশন ইসলামিক চিন্তাবিদদের সমন্বয়ে পুনর্গঠন করতে হবে ইসলামী ঐক্যজোটের সঙ্গে সংলাপে বসছে ইসলামী আন্দোলন

ভারতের  বিমান হামলায় উদ্বেগ ও নিন্দা জানাল  খেলাফত মজলিস

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

পাকিস্তানের আজাদ কাশ্মীর ও পাঞ্জাবের মসজিদে লক্ষ্য করে ভারতের বিমান হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে খেলাফত মজলিস। মঙ্গলবার রাতে দেওয়া এক যৌথ বিবৃতিতে দলটির আমীর মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের এ হামলাকে ‘একতরফা আগ্রাসন’ উল্লেখ করে অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান।

বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, “ভারতের মোদী সরকার কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়ে দোষ চাপাতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আগ্রাসনে নেমেছে। দীর্ঘদিন ধরেই ভারত কাশ্মীরিদের উপর দমন-পীড়ন চালিয়ে আসছে। সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করে তাদের অধিকার হরণ করা হয়েছে। অথচ পেহেলগাম হত্যাকাণ্ডে পাকিস্তানের সম্পৃক্ততার কোনো প্রমাণ মেলেনি।”

তারা আরও বলেন, “একের পর এক উসকানিমূলক পদক্ষেপের অংশ হিসেবে ভারত এখন একতরফাভাবে সিন্দু পানি চুক্তি স্থগিত করে ‘পানি অস্ত্র’ ব্যবহারে লিপ্ত হয়েছে। সবচেয়ে উদ্বেগজনক হলো—মসজিদকে টার্গেট করে সামরিক হামলা চালানো হয়েছে, যা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও ধর্মীয় স্বাধীনতার চরম লঙ্ঘন।”

খেলাফত মজলিসের নেতারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, “ভারত-পাকিস্তান উভয় দেশই পারমাণবিক শক্তিধর। এ ধরণের সর্বাত্মক সামরিক সংঘাত শুধু উপমহাদেশ নয়, বরং গোটা বিশ্বকে এক ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখোমুখি করতে পারে।”

তারা সকল পক্ষকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, “শান্তি ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার স্বার্থে অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে এবং কূটনৈতিক সমাধানের পথ খুঁজে বের করতে হবে।”

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ