বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া, প্রস্তুত করা হচ্ছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স শিক্ষার্থীদের সভা-সমাবেশ ও মিছিলে অংশগ্রহণ বন্ধের নির্দেশ নারী নীতিমালা নিয়ে জাতীয় সেমিনারে শীর্ষ আলেম-রাজনীতিকরা ‘মানবিক করিডোর’ প্রতিষ্ঠার আগে জাতীয় ঐকমত্য তৈরি করতে হবে সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ দেখতে চায় বিএনপি : মির্জা ফখরুল ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি স্থগিত প্রতিহিংসা-প্রতিশোধ শান্তি বয়ে আনতে পারে না: আমীরে জামায়াত শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে শাসন সংকট, মনোভাবের বিপর্যয় এবং সতর্কতার আহ্বান নিবরাস ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনে শিক্ষক নিয়োগ মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

প্রাথমিকের শিক্ষকদের ‘সুখবর’ দিয়ে হাসনাত আব্দুল্লাহর পোস্ট

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

দেশের প্রাথমিক শিক্ষায় উন্নয়নের লক্ষ্যে শিক্ষক পদোন্নতির বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিশ্রুতি দিয়ে ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড আইডিতে একটি পোস্ট করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায়ের সঙ্গে দেখা করার পর রাতে ফেসবুক পোস্টে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় প্রাথমিক শিক্ষা সবচেয়ে অবহেলিত একটি খাত। অথচ এটি সমাজে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাওয়া উচিত।

তিনি বলেন, বেতন কাঠামো এবং সামাজিক স্বীকৃতির দিক থেকে পিছিয়ে থাকা প্রাথমিক শিক্ষা, দেশের সামগ্রিক শিক্ষা উন্নয়নের মূল ভিত্তি হিসেবে কাজ করে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত না করা গেলে উচ্চশিক্ষায় গুণগত মান অর্জন করা সম্ভব নয়।

তিনি আরও বলেন, এই বাস্তবতায়, প্রাথমিক শিক্ষকরা দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যমান বেতন কাঠামোর পরিবর্তন, মেধার ভিত্তিতে পদোন্নতি, এবং অন্যান্য দাবির বিষয়ে সোচ্চার ছিলেন। বুধবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় স্যারের কাছে এসব দাবি উপস্থাপন করা হয়।

হাসনাত আরও লেখেন, উপদেষ্টা তাকে আশ্বাস দিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষকদের শতভাগ পদোন্নতি নিশ্চিত করা হবে। সহকারী শিক্ষক থেকে সহকারী প্রধান শিক্ষক এবং সর্বশেষ প্রধান শিক্ষক হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করা হবে। এই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, শিগগিরই এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।

ফলে, দীর্ঘদিন ধরে বেতন কাঠামো পরিবর্তন, মেধার ভিত্তিতে পদোন্নতি এবং সামাজিক স্বীকৃতির দাবিতে আন্দোলনরত প্রাথমিক শিক্ষকদের পেশাগত উন্নয়নে বড় ধরনের ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এরপর একজন শিক্ষকের মেসেজ উল্লেখ করে রাতেই আরেকটি পোস্টে তিনি লিখেছেন, প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকদের বর্তমান অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়। তারা না পারে কিছু বলতে, না পারে সইতে। ১৭-১৮ হাজার টাকার সীমিত বেতনে সংসার চালানো প্রায় অসম্ভব। পরিবার, মা-বাবার যত্ন, চিকিৎসা এবং অন্যান্য প্রয়োজন মেটাতে গিয়ে তারা যেন জীবন্ত লাশ হয়ে বেঁচে আছেন।

ওই পোস্টে তিনি আরও লিখেছেন, প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়ন নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রাথমিক শিক্ষা অবহেলিত রেখে জাতীয় অগ্রগতি সম্ভব নয়।

এনএ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ