শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৩ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৮ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
আজ জমিয়তের কাউন্সিল, কী পরিবর্তন আসছে নেতৃত্বে? মসজিদে নববীর ইমামের পেছনে নামাজ পড়তে মালদ্বীপে মুসল্লিদের ঢল আ.লীগ নিষিদ্ধের কথা বললে সরকার পশ্চিমাদের দোহাই দেয় : সারজিস নারী সংস্কার কমিশন বাতিল না করলে আন্দোলনের দাবানল জ্বলবে: হেফাজত আটপাড়ায় হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত কর্মস্থলে দুর্ঘটনাজনিত ক্ষতিপূরণের পরিমাণ বৃদ্ধির সুপারিশ মজলিসে আমেলার বৈঠকে জমিয়ত, রাত পোহালেই কাউন্সিল কাল ঢাকায় ইসলামী আন্দোলনের গণমিছিল, প্রস্তুতি সম্পন্ন ‘রাষ্ট্র কাঠামোর মৌলিক সংস্কার না হলে আবারও ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দেবে’ মাদরাসা শিক্ষার্থীদের মাঝে হাফেজ্জী হুজুর (রহ.) সেবা ফাউন্ডেশনের কিতাব বিতরণ

আসামে ‘বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত’ ৪৫০ মুসলমান পরিবার উচ্ছেদ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি সংগৃহীত

ভারতের পশ্চিম আসামের গোয়ালপাড়া জেলার সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে ৪৫০ পরিবারকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে এসব পরিবারকে ‘বেআইনি দখলদার’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে হিন্দুত্ববাদী সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) পত্রিকা অর্গানাইজার এ পরিবারগুলোকে ‘বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত মুসলমান পরিবার’ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে।

মঙ্গলবার তাদের উচ্ছেদ করা হয় বলে হিন্দুস্থান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে।

উচ্ছেদ হওয়া ৪৫০ পরিবারের সদস্যসংখ্যা দুই হাজার। উচ্ছেদের কারণে ৫৫-৬০ হেক্টর বনাঞ্চল খালি করা সম্ভব হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন সরকারি কর্মকর্তারা।

গোয়ালপাড়া জেলার লখিপুর রেঞ্জের বন্দরমাথা রিজার্ভ ফরেস্টের ১১৮ হেক্টরজুড়ে অভিযান চালিয়ে ৫৫-৬০ হেক্টর অঞ্চল থেকে দখলদারদের সরিয়ে দেওয়া হয় বলে জানান গোয়ালপাড়ার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা তেজস মারিস্বামী।

তেজস মারিস্বামী বলেন, গোয়ালপাড়ার সব সংরক্ষিত বনাঞ্চলকে দখলমুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন গুয়াহাটি হাইকোর্ট। ওই নির্দেশ অনুসারে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হচ্ছে। সারা দেশের মধ্যে গোয়ালপাড়ায় মানুষ ও হাতির সংঘাত সবচেয়ে বেশি। তিনি বলেন, এলাকাটি পরিষ্কার করার পর বনায়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে। এলাকাটিকে হাতির বসবাসের উপযোগী করে তোলা হবে।

এই বন কর্মকর্তা বলেন, ‘গত সপ্তাহে আমরা পতাকা মিছিল করেছি। আমাদের সীমানা সম্পর্কে লোকজনকে অবহিত করেছি। তাঁদের সংরক্ষিত এলাকা থেকে সরে যাওয়ার জন্য অনুরোধও করেছি।’

আরএসএসের পত্রিকা অর্গানাইজার এ বলা হয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে এই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে, তারা সবাই বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত। পত্রিকাটি বলছে, স্থানীয় মানুষ জানিয়েছেন, ইসলামপন্থীরা ২০০১ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে কংগ্রেস সরকারের আমলে সংরক্ষিত বনাঞ্চল দখল করেছিলেন।

হাআমা/


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ