বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫ ।। ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ৩ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :

উপন্যাসে মুসলমানদের গৌরবোজ্জ্বল অতীত তুলে ধরেন তিনি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

শিকড় সন্ধানী ঔপন্যাসিক শফীউদ্দীন সরদারের ৯০তম জন্মবার্ষিকী আজ। খ্যাতিমান এই লেখক উপন্যাসের মাধ্যমে এই অঞ্চলের মুসলিমদের গৌরবোজ্জ্বল অতীত তুলে ধরার জন্য বিখ্যাত হয়ে আছেন। প্রায় ছয় বছর আগে তিনি পরকালের বাসিন্দা হন।

শফীউদ্দীন সরদার ১৯৩৫ সালের ১ মে নাটোর জেলার অন্তর্গত নলডাঙ্গা উপজেলার হাটবিলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। নাটোরে ম্যাট্রিকুলেশন পাশের পর রংপুর কারমাইকেল কলেজ থেকে আইএ এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ অনার্স ও ডাবল এম এ ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর তিনি লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিপ্লোমা ইন এডুকেশন ডিগ্রি অর্জন করেন। গুণী এই ব্যক্তিত্ব তার কর্মজীবনে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেন। শিক্ষকতা করেন এবং প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবেও তিনি বেশ কিছু দিন চাকরি করেছিলেন।

ছাত্রজীবন থেকেই লেখালেখি বিশেষত কথাসাহিত্যের প্রতি তার ব্যাপক আগ্রহ ছিল। তিনি সবচাইতে বড় অবদান রেখেছেন ঐতিহাসিক উপন্যাস রচনায়। আমাদের এই বাংলা জনপদে যে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের বসবাস, তাদের পূর্ব পুরুষদের ইতিহাস কি? তা অন্বেষণের জন্য আজীবন সংগ্রাম করেছেন ঔপন্যাসিক শফীউদ্দীন সরদার। তিনি বাংলার মুসলমানদের গৌরবোজ্জ্বল অতীতকে ১৬টি উপন্যাসের মাধ্যমে জাতির সামনে স্পষ্ট করে তুলে ধরেছেন। এই উপন্যাসগুলো হলো বকতিয়ারের তলোয়ার, গৌড় থেকে সোনার গাঁ, যায় বেলা অবেলায়, বিদ্রোহী জাতক, বারপাইকার দুর্গ, রাজবিহঙ্গ, শেষ প্রহরী, প্রেম ও পূর্ণিমা, বিপন্ন প্রহর, সূর্যাস্ত, পথহারা পাখি, বৈরী বসতি, অন্তরে প্রান্তরে, দাবানল, ঠিকানা এবং অবৈধ অরণ্য।

শফীউদ্দীন সরদার তার জীবনের মধ্য বয়সের পর থেকে ঐতিহাসিক উপন্যাস লেখায় মনোনিবেশ করলেও সাহিত্যের বিভিন্ন শাখা-প্রশাখায় বিচরণ শুরু করেছিলেন ছাত্রজীবন থেকেই। নাটক লেখায় এবং নাট্য অভিনয়েও দক্ষতার প্রকাশ ঘটে তখনই। মঞ্চ নাটকে তার অনবদ্য অভিনয়ের কথা আজও অনেকে স্মরণ করেন। তার প্রথম নাটক ‘মীর জুমলা।’

এই বরেণ্য কথাসাহিত্যিক ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারিতে ৮৪ বছর বয়সে নাটোরে মৃত্যুবরণ করেন।

আজ বৃহস্পতিবার তার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে কথাসাহিত্যিক শফীউদ্দীন সরদার ফাউন্ডেশনের আয়োজনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।

এনএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ