সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৪ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ৩০ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
বৈরুতে ইসরাইলি ড্রোন হামলা, বহু হতাহতের আশঙ্কা ‘পাকিস্তানের পক্ষে ২ কোটি শিখ’, ভারতকে হুঁশিয়ারি খালিস্তানি নেতার জামায়াতের সাথে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিনিধি দলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হজসেবায় অত্যাধুনিক মোবাইল অ্যাপ ‘লাব্বাইক’ চালু হচ্ছে সোমবার  নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন তসলিমা নাসরিনের দোসর : আমিরে মজলিস দাওরায়ে হাদিস পাসে চাকরি দিচ্ছে বোনাফাইড টেক্সটাইল ইসলামি দলগুলোর নির্বাহী কমিটি গঠন প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন আনা দরকার সংস্কার ছাড়া গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে না : খেলাফত আন্দোলন ‘ইসলামি দলগুলোর মধ্যে বোঝাপড়ার যে সূচনা হয়েছে তা ধরে রাখতে হবে’ ‘ইসলামীবিরোধী নারী কমিশন বাতিল করতে হবে’

দারুল ইফতায় ‘ফতোয়া’ চাইবেন যেভাবে


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: ইন্টারনেট

|| তানবিরুল হক আবিদ ||

মানুষ মানেই ভুল। নানা সময় নানা ভুল হয়ে থাকে মানুষের। সর্বস্তরের ভুল শুধরে দিতে ও তার সমাধানে ইসলামে রয়েছে স্বতন্ত্র আইন ব্যবস্থা।  এই আইন ব্যবস্থা নিয়ে যারা গবেষণা করেন ও বিশেষজ্ঞ হয়ে উঠেন তাদেরকে বলা হয় মুফতি। বাংলাদেশে ইউনিভার্সিটি লেভেলের প্রায় সকল কওমি মাদ্রাসাতে রয়েছে ইসলামী আইন গবেষণা অনুষদ। যা ‘ইফতা বিভাগ’ নামে পরিচিত। যে বিভাগগুলো থেকে মানবজীবনের সার্বিক বিষয়ের শরঈ সমাধান পাওয়া যায়।

তবে আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষই জানে না কীভাবে এসব ‘ইফতা বিভাগ’ থেকে শরঈ সমাধান পাওয়া যায়। কীভাবে আবেদন করতে হয় ফতোয়ার জন্য। তাই আজকে আমরা আলোচনা করব জনসচেতনা মূলক এই বিষয়ে।

ফতোয়া চাওয়ার সময় যে বিষয়গুলো লক্ষ্যণীয়:-
১. যোগ্য মুফতি/ইফতা বিভাগ নির্বাচন করা।
২. পারিবারিক, সামাজিক, বিবাহ -বিচ্ছেদ, ফারায়েজ বা ওয়ারিসি সম্পত্তির মত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ফতোয়া লিখিত প্রশ্নপত্র জমা দেওয়া।
৩. স্ত্রী কর্তৃক তালাকের ফতোয়া নেওয়ার জন্য প্রশ্নের সঙ্গে কাবিননামা ও তালাকনামা সংযুক্ত করা।
৪. ফতোয়া চাওয়ার ক্ষেত্রে কখনো ছদ্মনাম ব্যবহার না করা।
৫. মুফতিয়ানে কেরাম সময় চাইলে তাদেরকে উত্তর প্রদানে পর্যাপ্ত সময় দেয়া।
৬. নিজের মর্জি মাফিক ফতোয়া পাওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ না করা।
৭. খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় না হলে একই প্রশ্ন একাধিক মুফতিয়ানে কেরাম বা দারুল ইফতায় না করা।
৮. গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছাড়া অতি সাধারণ বিষয়ে ফতোয়া না চাওয়া।

প্রশ্নলেখার পদ্ধতি:-
১.লিখিত ফতোয়ার ক্ষেত্রে অফিশিয়াল আবেদন পত্রের মত A4 সাইজের কাগজে প্রশ্ন করা।
২. পৃষ্ঠার শুরুতে নির্দিষ্ট মুফতি বা দারুল  ইফতা বরাবর লিখে নির্দিষ্ট বিষয়বস্তু উল্লেখ করা (এটা অনেকটা দরখাস্তের/আবেদন পত্রের মতো)।
৩. ক্ষেত্রবিশেষে অনলাইন বা এসএমএস এর মাধ্যমে ফতোয়া লিখে পাঠানো যায়।

ঢাকায় অবস্থিত নির্ভরযোগ কিছু দারুল ইফতার তালিকা:
 

  1.    ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার বসুন্ধরা।
    2.    আকবর কমপ্লেক্স মিরপুর-১ ঢাকা।
    3.    মারকাযুদ্ দাওয়াহ আলইসলামিয়া ঢাকা
    4.    শায়খ জাকারিয়া ইসলামি রিসার্চ সেন্টার।
    5.    মারকাজুল বুহুস আল ইসলামিয়া ঢাকা
    6.    মদিনাতুল উলুম ঢাকা মাছনা মাদ্রাসা
    7.    জামিয়া কোরআনিয়া আরাবিয়া, লালবাগ
    8.    জামিয়া আরাবিয়া ইমদাদুল উলূম, ফরিদাবাদ
    9.    জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম মানানিয়া, যাত্রাবাড়ী ঢাকা।
    10.    জামিয়া হুসাইনিয়া ইসলামিয়া, আরজাবাদ
    11.    জামিয়া শারইয়্যা মালিবাগ।
    12.    জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা
    13.    জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া, মোহাম্মাদপুর
    14.    জামিউল উলুম মিরপুর ১৪
    15.    বাইতুল উলুম ঢালকানগর

কেএল/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ