‘মহিলা’ শব্দে এতো আপত্তি কেন সুশীলদের?
প্রকাশ:
৩০ এপ্রিল, ২০২৫, ১২:০৬ দুপুর
নিউজ ডেস্ক |
![]()
মুফতি লুৎফুর রহমান ফরায়েজী নারী সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে একটি শব্দ পরিবর্তনের আবেদন আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। সেটি হলো: সরকারি যতগুলো সংস্থার নাম ‘মহিলা বিষয়ক’ রাখা আছে, সেখানেই তা পরিবর্তন করে ‘নারী বিষয়ক’ রাখার আবেদন করা হয়েছে। যেমন জাতীয় মহিলা সংস্থাকে ‘নারী বিষয়ক সংস্থা’, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরকে ‘নারী বিষয়ক অধিদপ্তর’ করা, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে ‘নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়’ করার সুপারিশ করা হয়েছে। প্রশ্ন হলো: ‘মহিলা’ শব্দে এতো আপত্তি কেন এ সুশীলদের? বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত 'ব্যবহারিক বাংলা অভিধান' গ্রন্থে খুব একটা পার্থক্য দেখা যায় না এ দুটি শব্দের। সেখানে 'মহিলা' শব্দের অর্থ লেখা আছে- সম্ভ্রান্ত নারী, যেকোনো নারী বা স্ত্রীলোক। অন্যদিকে 'নারী' শব্দের অর্থ দেওয়া হয়েছে- স্ত্রীলোক, রমণী, মহিলা, পত্মী। তাহলে শব্দের অর্থগত দিক থেকে কোনো আপত্তি থাকার কথা নয়। এরপরও নারী কমিশনের প্রতিবেদনে এ শব্দ পাল্টানোর আবেদনের হেতু কী? আসলে কারো কারো মতে ‘মহিলা’ শব্দটি এসেছে আরবি ‘মহল’ শব্দ থেকে। অন্দরমহলের বাসিন্দা বোঝাতে নারীদের ‘মহিলা’ বলা হয়ে থাকে। যদিও কারো কারো মতে 'মহিলা' শব্দটি সংস্কৃত । যা 'মহ্' ধাতু থেকে এসেছে। যার অর্থ 'মহৎ' কিংবা 'মহতী' । আরবি ‘মহল’ শব্দ থেকে উদগত হবার শংকা থেকেই কি এ শব্দ পরিবর্তনের এ আবেদন? লেখক: পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনস্টিটিউট অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা এনএইচ/ |