গাজায় ‘মৃত্যু ও ধ্বংস’ ডেকে এনেছে ইসরায়েল: জাতিসংঘ মহাসচিব
প্রকাশ:
০৬ এপ্রিল, ২০২৪, ০৪:৩২ সকাল
নিউজ ডেস্ক |
![]()
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান ফিলিস্তিনিদের জন্য ‘মৃত্যু ও ধ্বংস’ নিয়ে এসেছে। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়- গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরু হওয়ার ছয় মাস পর এক বক্তব্যে জাতিসংঘ প্রধান বলেছেন, কোনো কিছুই ফিলিস্তিনি জনগণের উপর সম্মিলিত হামলাকে সমর্থন করতে পারে না। তিনি বলেন, হামলায় গাজায় মানুষের জীবন ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধা ক্ষুণ্ন হয়েছে। ১০ দিন আগে রাফাহ ক্রসিংয়ে পরিদর্শনের সময় আমি প্রবীণ মানবতাবাদীদের সাথে দেখা করেছি, তারা আমাকে স্পষ্টভাবে বলেছেন গাজার সঙ্কট এবং দুর্ভোগ তারা কখনও দেখেনি। জাতিসংঘ প্রধান বলেন, গাজায় সাহায্যের জন্য আসা ট্রাকগুলো দীর্ঘ লাইনের মুখোমুখি হতে থাকে। নানান প্রতিবন্ধকের পর বাধা আসতে থাকে। তিনি বলেন, যখন সাহায্যের দরজা বন্ধ করা হয়, তখন অনাহারের দরজা খুলে যায়। গাজার অর্ধেকেরও বেশি জনসংখ্যা যা এক মিলিয়নেরও বেশি মানুষ – বিপর্যয়কর ক্ষুধার মুখোমুখি। গাজার শিশুরা আজ খাদ্য ও পানির অভাবে মারা যাচ্ছে। এটি বোধগম্য নয়, এবং সম্পূর্ণরূপে এড়ানো যায়। গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে, স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে ৩৩ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। কয়েক লাখ লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং সাহায্য সংস্থাগুলি সতর্ক করেছে যে স্ট্রিপটি দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তরিকভাবে আশা করেন, ইসরায়েল দ্রুত এবং কার্যকরভাবে গাজা উপত্যকায় সাহায্যের প্রবেশাধিকার বাড়াবে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গাজায় মানবিক সঙ্কট নিরসনে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি করার পর ইসরায়েল উত্তর গাজায় বেইট হানুন (ইরেজ) ক্রসিং পুনরায় চালু করার এবং দক্ষিণ ইসরায়েলের আশদোদ বন্দর অস্থায়ীভাবে ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে। সোমবার ইসরায়েলি বিমান হামলায় মার্কিন ভিত্তিক খাদ্য দাতব্য বিশ্ব সেন্ট্রাল কিচেনের জন্য কর্মরত সাতজন নিহত হওয়ার পর ২.৩ মিলিয়ন মানুষের ফিলিস্তিনি ছিটমহলে মানবিক সংকটে বিশ্বব্যাপী ক্ষোভ বেড়েছে। জাতিসংঘ বলছে, যুদ্ধে অন্তত ১৯৬ জন মানবিক কর্মী নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী গাজায় বোমা হামলার লক্ষ্যবস্তু চিহ্নিত করতে সাহায্য করার জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করছে এমন প্রতিবেদনে তিনি গভীরভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করেন গুতেরেস। তবে সন্দেহভাজন যোদ্ধা ও লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করতেে এআই-এর ব্যবহার অস্বীকার করেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী । এনএ/ |