মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ১ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া, প্রস্তুত করা হচ্ছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স শিক্ষার্থীদের সভা-সমাবেশ ও মিছিলে অংশগ্রহণ বন্ধের নির্দেশ নারী নীতিমালা নিয়ে জাতীয় সেমিনারে শীর্ষ আলেম-রাজনীতিকরা ‘মানবিক করিডোর’ প্রতিষ্ঠার আগে জাতীয় ঐকমত্য তৈরি করতে হবে সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ দেখতে চায় বিএনপি : মির্জা ফখরুল ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি স্থগিত প্রতিহিংসা-প্রতিশোধ শান্তি বয়ে আনতে পারে না: আমীরে জামায়াত শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে শাসন সংকট, মনোভাবের বিপর্যয় এবং সতর্কতার আহ্বান নিবরাস ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনে শিক্ষক নিয়োগ মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় মৃত্যু ২৫ হাজার ছাড়াল

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা ২৫ হাজার ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে তুরস্কেই ২১ হাজার ৮৪৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আর সিরিয়ায় ৩ হাজার ৫৫৩।

এখনও হাজারও মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত এলাকার বাতাসে এখন লাশের গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে।

শত প্রতিকূলতার মধ্যেও উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে হাড় হিম করা ঠান্ডায় কাউকে আর জীবিত উদ্ধারের আশা দেখছেন না উদ্ধারকর্মীরা। তারা বলছেন, এখন যদি কাউকে জীবিত উদ্ধার করা হয়, তা হবে ‘অলৌকিক’ ঘটনা।

এরপরও ভূমিকম্প আঘাত হানার ছয় দিন পরও ধ্বংসস্তূপের নিচে মিলছে প্রাণের স্পন্দন। আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) মোট ৯ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। সবশেষ ভূমিকম্পের ১২৯ ঘণ্টা পর একসঙ্গে পাঁচ সদস্যের পরিবারকে উদ্ধার করা হয়।

তুরস্কের গাজিয়ানতেপ প্রদেশের নুরদাগ শহরের একটি ভবনের ধ্বংসস্তূপ থেকে পরিবারটিকে বের করে আনেন উদ্ধারকর্মীরা। এ সময় ‘আল্লাহু আকবর’ ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। প্রতিবেদন মতে, উদ্ধারকারীরা প্রথমে মা ও তার কন্যাকে বের করে আনেন। এরপর একে একে বাবা ও তাদের আরও দুই সন্তানকে উদ্ধার করা হয়।

এর আগে তুরস্কের কাহরামানমারাস শহরের ধ্বসংস্তূপ থেকে দুই নারীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দুই দশকের মধ্যে সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভূমিকম্পের পর ধ্বংসস্তূপের মধ্যে ওই দুই নারী ১২২ ঘণ্টা আটকা ছিলেন।

এদিকে জাতিসংঘ বলেছে, ভূমিকম্পের কারণে সিরিয়ায় নতুন করে ৫৩ লাখ মানুষ উদ্বাস্তু হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। এছাড়া দুই দেশে প্রায় ৯ লাখ মানুষের জরুরি ভিত্তিতে খাদ্য সহায়তার প্রয়োজন। তুরস্কের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা জরুরি ত্রাণ সহায়তা সরবরাহ অব্যাহত রেখেছে।

সিরিয়ার অংশ তেমন মনোযোগ পাচ্ছে না। তবে দেরিতে হলেও বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে মানবিক সহায়তা প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ সরকার। এসব এলাকায় এরইমধ্যে ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করতে শুরু করেছে।

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ