বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া, প্রস্তুত করা হচ্ছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স শিক্ষার্থীদের সভা-সমাবেশ ও মিছিলে অংশগ্রহণ বন্ধের নির্দেশ নারী নীতিমালা নিয়ে জাতীয় সেমিনারে শীর্ষ আলেম-রাজনীতিকরা ‘মানবিক করিডোর’ প্রতিষ্ঠার আগে জাতীয় ঐকমত্য তৈরি করতে হবে সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ দেখতে চায় বিএনপি : মির্জা ফখরুল ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি স্থগিত প্রতিহিংসা-প্রতিশোধ শান্তি বয়ে আনতে পারে না: আমীরে জামায়াত শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে শাসন সংকট, মনোভাবের বিপর্যয় এবং সতর্কতার আহ্বান নিবরাস ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনে শিক্ষক নিয়োগ মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

হাফেজ হওয়ার স্বপ্ন ফিকে হয়ে আসছে অসুস্থ আবু মুসার

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ফরিদপুর প্রতিনিধি: ঢাকার দোহারে নিকরা মদিনাতুল উলুম মাদরাসায় হিফজ বিভাগের ছাত্র আবু মুসা। দরিদ্র দিনমজুর বাবার এই মেধাবী সন্তান পড়ালেখায় বেশ ভালোই করছিলো। তাই অভিভাবকেরা এক বুক আশা নিয়ে সন্তানকে হাফেজ বানাতে ঢাকার মাদরাসায় ভর্তি করে দেন। তবে একটি অসর্তকতার কারণে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনার পর সেই স্বপ্ন যেন ভঙ্গ হতে চলেছে এ সম্ভাবনাময় হাফেজ শিক্ষার্থীর।

গত ১৬ অক্টোবর মাদরাসার তিন তলার বেলকনি থেকে অসতর্কতাবশত পড়ে গিয়ে আবু মুসার মেরুদণ্ডের হাড় ভেঙে যায়। এরপর প্রথমে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। সেখানে বেশ কিছুদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর তাকে সাভারের সিআরপি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আবু মুসাকে সুস্থ করে তুলতে হলে তার চিকিৎসায় খরচ হবে ‘অনেক টাকা’। কিন্তু এই চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় খরচের ব্যয়ভার তার দরিদ্র পরিবারের পক্ষে বহন করা সম্ভব না। ফলে মেধাবী এই হাফেজ শিক্ষার্থীর জীবনে বর্তমানে অন্ধকার নেমে এসেছে।

আবু মুসার গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলাধীন দাদপুর ইউনিয়নের কোন্দারদিয়া গ্রামে। দিনমুজর কবির হোসেনের পাঁচ সন্তানের মধ্যে চতুর্থ আবু মুসা। বড় ভাই ও বাবার যৌথ উপার্জনে চলছিলো তার হিফজ শিক্ষা। তবে গত দুই মাস যাবত অসুস্থ আবু মুসার চিকিৎসা চালাতে বাবা কবির হোসেন এখন একপ্রকার নিঃস্ব। তার পক্ষে আর সন্তানের চিকিৎসার খরচ জোগানো সম্ভবপর হচ্ছে না।

কবির হোসেন বলেন, আমাদের একটিই স্বপ্ন আবু মুসা একজন হাফেজ ও আলেম হবে। ছেলেরও এই একই স্বপ্ন। পড়ালেখায়ও বেশ ভালো সে। কিন্তু এখন যে অবস্থা তাতে বেঁচে থাকাই কষ্ট তার। মাত্র ১০ শতক জমি রয়েছে হোসেনের। হয়ত শেষ সম্বলটুকুও বিক্রি করতে হবে ছেলের চিকিৎসার জন্য।

দাদপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মাস্টার ইউনুস আলি মিয়ার ছেলে ও পার্শ্ববর্তী বিভাগদী শহীদ স্মৃতি মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম বলেন, কবির হোসেন খুব সৎ ও নিরীহ একজন মানুষ। এরকম দুঃসহ একটি ঘটনা তার জীবন ওলটপালট করে দিয়েছে। আমরা স্থানীয়ভাবে তাকে কিছু সহায়তা করছি কিন্তু তার ছেলের চিকিৎসায় অনেক টাকার প্রয়োজন।

দাদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন আবু মুসার চিকিৎসা ব্যয় নির্বাহে পরিবারের অক্ষমতার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অত্যন্ত ভালো মানুষ কবির হোসেনের বড় আশা ছেলেকে হাফেজ বানাবেন। কিন্তু দুর্ঘটনার কারণে তার সব স্বপ্ন ফিকে হয়ে আসছে। আমরা যতটুকু পেরেছি তাকে সাহায্য সহযোগিতা করেছি। কিন্তু মুসাকে সুস্থ করে তুলতে হলে আরো টাকার প্রয়োজন। তার দরিদ্র পরিবারের সামর্থ্য নেই এই টাকার জোগাড় করার। আমরা সমাজের বিত্তবানদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি যাতে তারা এই হাফেজ শিক্ষার্থীর চিকিৎসায় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে এগিয়ে আসেন।

আর্থিক সহযোগিতা করতে চাইলে আবু মুসার বাবা কবির হোসেনের এই মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করা যাবে:

মোবাইল নাম্বার- 01853 262687 (বিকাশ ও রকেট-পারসোনাল)

-এসআর


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ