বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া, প্রস্তুত করা হচ্ছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স শিক্ষার্থীদের সভা-সমাবেশ ও মিছিলে অংশগ্রহণ বন্ধের নির্দেশ নারী নীতিমালা নিয়ে জাতীয় সেমিনারে শীর্ষ আলেম-রাজনীতিকরা ‘মানবিক করিডোর’ প্রতিষ্ঠার আগে জাতীয় ঐকমত্য তৈরি করতে হবে সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ দেখতে চায় বিএনপি : মির্জা ফখরুল ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি স্থগিত প্রতিহিংসা-প্রতিশোধ শান্তি বয়ে আনতে পারে না: আমীরে জামায়াত শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে শাসন সংকট, মনোভাবের বিপর্যয় এবং সতর্কতার আহ্বান নিবরাস ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনে শিক্ষক নিয়োগ মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

রোহিঙ্গা ভরণপোষণে চাহিদার ৪৪ শতাংশ জোগাড় করতে পেরেছে জাতিসংঘ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ২০১৭ সালের পর সরকারি হিসাবেই বাংলাদেশে থাকা রোহিঙ্গার সংখ্যা এগারো লাখেরও বেশি। মিয়ানমারের এই জনগোষ্ঠীর থাকা-খাওয়াসহ সব প্রয়োজন মেটাচ্ছে বাংলাদেশ।

গত ৬ বছর ধরে এ কাজে বছরের সম্ভাব্য খরচ বন্ধুরাষ্ট্রগুলোর কাছ থেকে সংগ্রহ করে জাতিসংঘ, যা জয়েন্ট রেসপন্স প্ল্যান (জেআরপি) নামে পরিচিত। ২০২২ সালে চাহিদা ছিল ৮৮ কোটি মার্কিন ডলারের মতো। আর সেখানে মিলেছে মাত্র ৪৪ শতাংশ।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর গুরুত্ব হারায় রোহিঙ্গা সংকট। সাথে বেড়েছে অর্থনীতির নানা চ্যালেঞ্জ। ফলে মিলছে না কাঙ্ক্ষিত অর্থ। সচরাচর প্রতি মার্চে জেআরপি ঘোষণা হলেও ,এবার একটু আগেই তা করতে যাচ্ছে জাতিসংঘ।

জাতিসংঘ ঢাকা অফিসের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস বলেন, আমরা খুব চেষ্টা করে যাচ্ছি। আশা করছি জানুয়ারির শেষ দিকে আমরা এটা পারবো। আমরা দ্রুত আপিলের চেষ্টা করছি। কারণ, সবাই আর্থিক সংকটে আছে।

রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে দ্বিপাক্ষিক, চীনকে নিয়ে ত্রিপাক্ষিক বা বহুপাক্ষিক, কোনো চেষ্টাই সফল হয়নি এখনও। এমন অবস্থায় সম্প্রতি ৬২ রোহিঙ্গাকে এদেশ থেকে নিয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্র। বছরে ৮০০ রোহিঙ্গা নেয়ার কথা দেশটির।

প্রত্যাবাসনই যে সংকটের টেকসই সমাধান- তা নিয়ে কোনো দ্বিমত নেই। মিয়ানমারের জান্তা সরকারের সাথে আলোচনার পাশাপাশি তা দ্রুত শুরু করতে চীনের সাথেও যোগাযোগ অব্যাহত রাখতে চায় বাংলাদেশ।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, মিয়ানমার তাদের নাগরিকদের নিতে আগ্রহী। আগে যে মনোভাব পোষণ করে তারা ছিল তার থেকে এখন অনেক আন্তরিক হয়েছে। আমরা এ পর্যন্তই জানি।

রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর কারণে পরিবেশ ও নিরাপত্তাসহ নানা ঝুঁকি বাড়ছে বাংলাদেশসহ এই অঞ্চলে। সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতির হিসাব করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে তা জানানো জরুরি বলেও জানিয়েছেন অনেকে।

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ