শনিবার, ২৪ মে ২০২৫ ।। ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ ।। ২৬ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশে কেন্দ্রীয় সদস্য সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত  মজলিসে আমেলার বৈঠকে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ‘ড. ইউনূসকে পদত্যাগ করালে বিপ্লবী সরকার গঠন করবে ছাত্র-জনতা’ আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে অর্থবহ সমাধান আসবে: জামায়াত আমির নোয়াখালীতে আন-নুর হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা লন্ডনে শেখ হাসিনা সংশ্লিষ্টদের ৯০ মিলিয়ন পাউন্ডের সম্পত্তি জব্দ প্রধান উপদেষ্টার যেসব চাপে থাকার কথা জানালো নিউইয়র্ক টাইমস হজে গিয়ে অসুস্থ ১১১ বাংলাদেশি, হাসপাতালে ৩০ ইসলাম গ্রহণের পর জবি শিক্ষার্থীর হৃদয়ছোঁয়া আহ্বান – "একবার কুরআন পড়ুন" সন্ধ্যায় বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে বসছেন প্রধান উপদেষ্টা

যে অবস্থায় ও পদ্ধতিতে জন্মনিয়ন্ত্রণ জায়েজ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: একটি হাদিসে কুদসিতে আল্লাহ তা’য়ালা বলেন যে, তোমাদের সর্বপ্রথম ও সর্বশেষ অর্থাৎ সমস্ত জিন-ইনসান কোনোস্থানে একত্রিত হয়ে আমার নিকট প্রার্থনা করে। আর আমি তাদের সকলের প্রার্থণা মাফিক তাদেরকে দান করি, তাহলে আমার ভাণ্ডার থেকে এতোটুকুও কমবে না যতোটুকু সুঁই সাগরে ডুবিয়ে উঠালে সাগরের পানি কমে। তাই পৃথিবীতে জনসংখ্যা যতোই হোক না কেন।

প্রত্যেকের রিজিকের ব্যবস্থা অবশ্যই আল্লাহ তা’য়ালা করে থাকেন ও করবেন। প্রত্যেক মুসলমানের এই বিশ্বাস রাখা চাই। এর বিপরীত আকীদা পোষণ করা কুফরী। তাই জন্মনিয়ন্ত্রণ করা নিষেধ।

সুতরাং, ওলামায়ে কেরাম যে ব্যাখ্যা করেন তা যথার্থই করেন। তবে অবস্থা ও পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে কখনও এক্ষেত্রে হুকুমের মধ্যে কিছু শিথিলতা আসে। যা ব্যাখ্যা সাপেক্ষ। নিম্নে ব্যাখ্যাসহ এর হুকুম বর্ণনা করা হলো।  জন্মনিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনিয়তা ও পদ্ধতিতে ভিন্নতা রয়েছে। সকল ক্ষেত্র ও সকল পদ্ধতির হুকুম এক নয়।

মৌলিকভাবে জন্মনিয়ন্ত্রণের তিনটি পদ্ধতি রয়েছে- 

এক. জন্মনিয়ন্ত্রণের স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা, যার দ্বারা নারী বা পুরুষ প্রজনন ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।

দুই. অস্থায়ীভাবে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা, যার ফলে স্বামী-স্ত্রীর কেউ প্রজনন ক্ষমতাহীন হয়ে যায় না। যেমন, কনডম ব্যবহার করা, পিল সেবন করা ইত্যাদি।

তিন. গর্ভধারনের পর গর্ভপাত ঘটানো।

প্রথম পদ্ধতিটি গ্রহণ করা সম্পূর্ণ অবৈধ। কেননা এতে আল্লাহর সৃষ্টির পরিবর্তন করা আবশ্যক হয়ে পড়ে। তবে এক্ষেত্রে কখনও কোনো অভিজ্ঞ দ্বীনদার ডাক্তারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গর্ভধারণের কারণে মায়ের প্রাণনাশের আশঙ্কা হলে স্থায়ী পদ্ধতি গ্রহণ করা যেতে পারে।

আর দ্বিতীয় পদ্ধতি শুধু নিম্নোক্ত ক্ষেত্রে বৈধ হবে।

- দুই বাচ্চার জন্মের মাঝে কিছু সময় বিরতি দেওয়া, যাতে প্রথম সন্তানের লালন-পালন, পরিচর্যা ঠিকমতো হয়।

- কোন কারণে মহিলার বাচ্চা লালন-পালনের সামর্থ্য না থাকলে।

- মহিলা অসুস্থ ও দুর্বল হওয়ার কারণে গর্ভধারণ বিপজ্জনক হলে।

তবে ভালোভাবে মনে রাখা দরকার যে, এসব ক্ষেত্রে বৈধতা শুধু ব্যক্তিগত প্রয়োজনে। সম্মিলিতভাবে মানুষের কাছে প্রচারণা করা ও এতে উদ্বুদ্ধ করা কোনোভাবেই জায়েজ নয়।

আর তৃতীয় পদ্ধতিও নাজায়েজ। তবে যদি মহিলা অত্যধিক দুর্বল হয়, যার কারণে গর্ভধারণ তার প্রাণনাশের আশঙ্কাজনক হয় আর গর্ভধারনের মেয়াদ চার মাসের কম হয়, তাহলে গর্ভপাত বৈধ হবে। আর মেয়াদ চার মাসের অধিক হলে বৈধ নয়। [মুসলিম শরিফ ২/৩১৯, জাদীদ ফিকহী মাবাহেস ১/২৮২]

সূত্র: ইফতা বিভাগ, জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া, সাত মসজিদ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা।

আরএম/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ