শনিবার, ২৪ মে ২০২৫ ।। ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ ।। ২৬ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
লন্ডনে শেখ হাসিনা সংশ্লিষ্টদের ৯০ মিলিয়ন পাউন্ডের সম্পত্তি জব্দ প্রধান উপদেষ্টার যেসব চাপে থাকার কথা জানালো নিউইয়র্ক টাইমস হজে গিয়ে অসুস্থ ১১১ বাংলাদেশি, হাসপাতালে ৩০ ইসলাম গ্রহণের পর জবি শিক্ষার্থীর হৃদয়ছোঁয়া আহ্বান – "একবার কুরআন পড়ুন" সন্ধ্যায় বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে বসছেন প্রধান উপদেষ্টা ‘আল্লামা সুলতান যওক শুধু ব্যক্তি নন, ছিলেন প্রতিষ্ঠানের চেয়ে বেশি কিছু’ গাজায় ইসরায়েলি হামলায় একদিনে ৭৬ ফিলিস্তিনি নিহত  শয়তান থেকে নিরাপদ থাকার দোয়া শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে ষড়যন্ত্র করা হলে রুখে দেওয়া হবে : ইশতিয়াক তুরস্কে নতুন সংবিধান প্রণয়নের উদ্যোগ, এরদোয়ানের বড় ঘোষণা

একজন সাদামনের আলেমের বিদায়!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আল আমিন রাহমানী: হাফেজ মাওলানা আব্দুস সালাম রহ. জামিয়া রাহমানিয়ায় দীর্ঘদিন হিফজ বিভাগের শিক্ষক ছিলেন। আমিও হুজুরের কাছে কিছুদিন (২০১০) পড়েছি। একদম সরল, নিরহঙ্কার ও সদা হাস্যোজ্জ্বল মানুষ ছিলেন।

আমরা হিফজ বিভাগ থেকে কিতাব বিভাগে আসার পর, কোনো প্রয়োজনে হিফজখানায় গেলে খুব সমাদর করতেন। সরাসরি ছাত্র হওয়ার পরেও হিফজখানায় গেলে সরলমনে টুপি খুলে বলতেন মাওলানা সাব একটু ফুঁ দিয়ে দেন। লজ্জা লাগতো, তারপরও মুহাব্বত করে বলাতে ফুঁ দিতাম। হুজুর খুশি হতেন। এ ঘটনা অনেকের সাথেই ঘটতো।

হুজুরের দুইটা কথা সবসময় মনে পড়ে। ১। হুজুর বলতেন—টিনের চালের যে স্থানে স্ক্রু লাগানো হয়, ওটা মজবুত থাকে। ঝড় তুফানে কিছু হয় না। আর যেখানে স্ক্রু থাকে না, সেটা দুর্বল থাকে, হালকা বাতাসেও টলে যায়। হুজুরদের শাস্তিগুলোও তেমন। যেই পড়ায় বেতের বারি পড়েছে, ওটা বেশি ইয়াদ থাকে। আর যেখানে পড়ে নাই সেটা দুর্বল হয়। ইয়াদ কম থাকে।

২। হুজুরের গদির সামনে বসা ছাত্রদের লক্ষ্য করে তিনি বলতেন— দেখো তোমাদের আর আমাদের বাহ্যিক উপবেশনস্থলের মাঝে মাত্র একবিঘত দূরত্ব। কিন্তু এ এক বিঘত দূরত্ব অতিক্রম করতে ১২/১৫ বছর লাগে।

হুজুরের একথাগুলো আমাদের ছোটো মনে আনন্দ দিতো। ভালো লাগতো। তাই একযুগ পরে এসেও কথাগুলো সেভাবেই মনে আছে।
কিতাব বিভাগে থাকাবস্থায় যখনই দেখা হতো, হাসি দিয়ে নিজে আগে সালাম দিতেন। খোঁজ খবর নিতেন।

আজিজিয়া হওয়ার পর দিলগনী মসজিদে ইফতা থাকার সুবাদে কয়েকবার যাওয়া হয়েছে। হুজুরের সাথে একবার দেখা হয়েছে। অত্যন্ত আন্তরিকভাবে কোথায় খেদমতে আছি, কেমন আছি, বিয়ে শাদি করেছি কি না ইত্যাদি খোঁজ খবর নিয়েছেন। কথা শেষে খাবারের দাওয়াত দিয়েছেন। কিন্তু তাড়াহুড়া থাকায় দাওয়াত গ্রহণ করতে পারিনি। কোনোদিন কল্পনাতেও আসেনি হুজুর এত দ্রুত চলে যাবেন। রহিমাহুল্লাহু রাহমাতান ওয়াসিয়া।

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ