শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫ ।। ২৫ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ১১ জিলকদ ১৪৪৬


ভারতের নাগরিকত্ব আইন বাস্তবায়ন নিয়ে বাগ্‌যুদ্ধ শুরু

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: জীবন দেব তবুও কারো নাগরিকত্ব কেড়ে নিতে দেব না। ভারতের কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকারকে আবার নাগরিকত্ব (সংশোধন) আইন, ২০১৯ (সিএএ) ইস্যুতে হুঁশিয়ার করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বুধবার (০৯ নভেম্বর) এক রাজনৈতিক সভায় তৃণমূল নেত্রী এ কথা বলেন। যদিও বিজেপির পাল্টা দাবি সিএএ বাস্তবায়ন শুধু সময়ের অপেক্ষামাত্র।

ভারতের নাগরিকত্ব আইন বাস্তবায়ন নিয়ে আবার দেশটির অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে তীব্র বাগ্‌যুদ্ধ শুরু হয়েছে। বিধানসভা নির্বাচনের মুখে বিজেপিশাসিত গুজরাটে বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে আসা অমুসলিমদের ভারতের নাগরিকত্ব দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এরই মধ্যে রাজ্যে রাজ্যে সিএএ কার্যকর করার পক্ষে বিপক্ষে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চর্চা।

বুধবার (০৯ নভেম্বর) কলকাতার অদূরে নদীয়া জেলা সফরে গিয়ে বিজেপি তথা কেন্দ্রীয় সরকারকে একহাত নিয়েছেন তৃণমূল সভানেত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, যারা ভোট দিয়ে স্থানীয় এমপি-বিধায়ক-চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছেন; তাদের কেন আবারও নাগরিক হতে হবে।

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আপনারা এখানকার নাগরিক। পুরোপুরি নাগরিক থাকবেন। আপনাদের ওপর কিছু করতে আমি দেব না। আপনাদের নাগরিকত্ব কেউ কেড়ে নিতে পারবে না। জীবন দেব তবুও কারো নাগরিকত্ব কেড়ে নিতে দেব না।

যদিও মমতার এই দাবি উড়িয়ে দিয়ে উল্টো পশ্চিমবঙ্গেও সিএএ বাস্তবায়ন সময়ের অপেক্ষা বলে জানিয়েছেন বিজেপি মুখপাত্র। অন্যদিকে সিএএ ইস্যুতে তৃণমূল-বিজেপিকে রাজনৈতিকভাবে খোঁচা দিতে ছাড়ছে না বাম নেতৃত্ব।

বিজেপি মুখপাত্র শমিক ভট্টাচার্য বলেন, এই অবস্থান আমাদের দীর্ঘদিনের। সিএএ বাস্তবায়ন এখন সময়ের অপেক্ষামাত্র। এদিকে বামফ্রন্ট নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, নাগরিকত্ব নিয়ে যে প্রশ্ন আসছে, সে তো নাগরিক। সে কবে আবার ‘বে-নাগরিক’ হলো।

২০১৯ সালে ভারতের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে বলা হয় ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে আসা প্রতিবেশি তিন দেশের অমুসলিমরা ভারতের নাগরিকত্ব পাবেন।

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ