বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫ ।। ২৫ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ১০ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
আ. লীগ নিষিদ্ধের সুস্পষ্ট রোডম্যাপ না পাওয়া পর্যন্ত অবস্থান চলবে: হাসনাত জুলাই গণহত্যা: আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ গঠন সরকারের মধ্যস্থতায় হামিদের পালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়েছে: নুর আ. লীগের বিচারে সরকারের নতুন উদ্যোগ, জানালেন উপদেষ্টা স্কুলে নৈতিক শিক্ষা ছোট থেকেই দেয়া উচিত : মাসউদুল কাদির সিলেটে খেলার মাঠ নিয়ে বিএসএফ-স্থানীয়দের মধ্যে উত্তেজনা যৌতুকবিহীন বিয়ে করায় ২০ নবদম্পতিকে উপহার দিল জামায়াত আবদুল হামিদের দেশত্যাগ, ৩ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা আলেমবিদ্বেষী বক্তব্যে ফটিকছড়িতে উমামা ফাতেমাকে অবাঞ্চিত ঘোষণা সমমনা ইসলামী জোটের বৈঠকে ৩০০ আসনে একক প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত

জিএম কাদেরের নিষেধাজ্ঞাদেশের বিষয়ে শুনানি ১০ নভেম্বর

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা জি এম কাদেরের দলীয় কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞাদেশের বিষয়ে আগামী ১০ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন আদালত।

আজ মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ মাসুদুল হকের আদালতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়ে শুনানি করেন জিএম কাদেরের আইনজীবী শেখ সিরাজুল ইসলাম।

শুনানিতে আইনজীবী শেখ সিরাজুল ইসলাম বলেন, আদালতকে ভুল বুঝিয়ে ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে নিষেধাজ্ঞার আদেশ নেওয়া হয়েছে। এই আদেশের ফলে তার দলীয় এবং রাষ্ট্রীয় কাজ ব্যাহত হচ্ছে। পাশাপাশি বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এরপর আদালত উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে শুনানির জন্য আগামী ১০ নভেম্বর দিন ধার্য করেন।

অন্যদিকে, শুনানিতে শেখ সিরাজুল ইসলাম বলেন, বাদী জিয়াউল হক মৃধা জাতীয় পার্টির উপদেষ্টা পরিচয় দিয়েছেন। আসলে জাতীয় পার্টিতে এমন পদ নেই। আছে চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা। বাদী মিথ্যা তথ্য দিয়ে ও আদালতকে ভুল বুঝিয়ে নিষেধাজ্ঞার আদেশ নিয়েছেন। জিএম কাদের দলের চেয়ারম্যানের পাশাপাশি সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় উপনেতা।

এর আগে গত ৬ অক্টোবর জিএম কাদেরের পক্ষে শেখ সিরাজুল ইসলাম, কলিম উল্যাহ মজুমদারসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রত্যাহারের আবেদন করেন।

উল্লেখ্য, গত ৪ অক্টোবর জাপা থেকে বহিষ্কৃত নেতা সাবেক এমপি জিয়াউল হক মৃধা এই মামলা করেন। বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩১ অক্টোবর ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালত জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে জিএম কাদেরের দলীয় যাবতীয় কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞার অস্থায়ী আদেশ দেন।

মামলার বিবরণীতে বলা হয়, জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। এরপর বিবাদী জিএম কাদের হাইকোর্ট বিভাগের একটি রিট মামলা বিচারাধীন থাকাবস্থায় জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ওই বছরের ২৮ ডিসেম্বর কাউন্সিল করে নিজেকে চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করেন।

গত ৫ মার্চ গাজীপুর মহানগর কমিটির উপদেষ্টা আতাউর রহমান সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক সবুর শিকদার, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা. মো. আজিজকে বহিষ্কার করেন। এছাড়া গত ১৪ সেপ্টেম্বর বাদী মশিউর রহমান রাঙ্গাকে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করেন। অন্যদিকে গত ১৭ সেপ্টেম্বর অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধাকেও জাতীয় পার্টি থেকে বহিষ্কার করেন, যা সম্পূর্ণভাবে অবৈধ।

তাই ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বরের কাউন্সিলসহ চলতি বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বহিষ্কার আদেশ অবৈধ ঘোষণা করতে এবং হাইকোর্ট বিভাগের রিট নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জাতীয় পার্টির পরবর্তী কাউন্সিল স্থগিত রাখতে মামলায় আদেশ চাওয়া হয়েছে।

-এসআর


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ