শনিবার, ২৪ মে ২০২৫ ।। ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ ।। ২৬ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী মজা করে বেসামরিক মানুষ হত্যা করছে ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশে কেন্দ্রীয় সদস্য সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত  মজলিসে আমেলার বৈঠকে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ‘ড. ইউনূসকে পদত্যাগ করালে বিপ্লবী সরকার গঠন করবে ছাত্র-জনতা’ আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে অর্থবহ সমাধান আসবে: জামায়াত আমির নোয়াখালীতে আন-নুর হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা লন্ডনে শেখ হাসিনা সংশ্লিষ্টদের ৯০ মিলিয়ন পাউন্ডের সম্পত্তি জব্দ প্রধান উপদেষ্টার যেসব চাপে থাকার কথা জানালো নিউইয়র্ক টাইমস হজে গিয়ে অসুস্থ ১১১ বাংলাদেশি, হাসপাতালে ৩০ ইসলাম গ্রহণের পর জবি শিক্ষার্থীর হৃদয়ছোঁয়া আহ্বান – "একবার কুরআন পড়ুন"

একজন পর্বতসম ব্যক্তিত্বের বিদায়‌

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মাওলানা মুহাম্মাদ ইবরাহীম।।

শায়খ ড. ইউসুফ আল কারযাভি। বিশ্ববরেণ্য এক জ্ঞানবৃদ্ধ। বিদগ্ধ আলেমে দ্বীন। মুসলিম বিশ্বের ইসলামী চিন্তাবিদ। বিশ্বব্যাপী এ নামটি এক নামে পরিচিত এবং সুবিদিত। আধুনিক বিশ্বের জটিল মাসআলা সমাধানে তার অবদান অসামান্য।

তিনি আজ আর আমাদের মাঝে নেই। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। বড় অসময়ে তিনি চলে গেলেন না ফেরার দেশে। একজন সাহসী ও প্রাজ্ঞ আলেমেদ্বীন ছিলেন। বাল্যকাল থেকেই ইসলামের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন। হক কথা বলায় কারো রক্ত চক্ষুকে তোয়াক্কা করতেন না। এজন্য তাকে বার বার কারা নির্যাতন ভোগ করতে হয়েছে। নির্বাচিত হয়েছেন অনেক আগেই।জন্মভূমি মিশর হওয়া সত্ত্বেও জালিমের অত্যাচারে তাকে পাড়ি জমাতে হয় কাতারে। মৃত্যু অবধি এখানেই ছিলেন।

মধ্যপাচ্যসহ সারা বিশ্বের ইসলামী জাগরণে তার ভূমিকা অনন্য। ইসলামের স্বচ্ছতা তুলে ধরার ক্ষেত্রে তার লেখনি শক্তি ছিল অসামান্য। ইসলামী আন্দোলন, মানব জীবন, সামাজিক বিধান, রাজনীতি, অর্থনীতি, সংস্কৃতি, দর্শন সহ নানা দিক ও বিভাগ নিয়ে অসংখ্য কালোত্তীর্ণ গ্রন্থ ও রচনা তিনি লিখে গেছেন। যা বিশ্বব্যাপী তার পরিচিতিকে আরো বহুগুনে বাড়িয়ে দিয়েছে।

তার ব্যাপারে ব্যাপক জানাশোনা ও পরিচয় ঘটে তার লেখা বিখ্যাত গ্রন্থ "ইসলামের দৃষ্টিতে হালাল-হারাম" অধ্যয়নের মধ্য দিয়ে। আমাদের ইফতার দ্বিতীয় বর্ষের প্রথম সেমিস্টারে তা "দরসে" ছিল। তখন এই বইটি পড়ার সুযোগ হয়।

তার কিছু কিছু একক মত ছাড়া ইসলামের স্বচ্ছ রূপকে তুলে ধরার ক্ষেত্রে তার অবদান ভুলে যাওয়ার মত নয়। মুসলিম জাতির মাঝে তার কর্ম ও অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

দুআ করি, মহান আল্লাহ তাআলা তাকে তার প্রিয় বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত করে দিন। এবং তার ইন্তিকালে মুসলিম উম্মাহকে ধৈর্যধারণ করার তাওফিক দান করুন। আমীন।

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ